পটুয়াখালী ও টাঙ্গাইলে করোনায় ২ চিকিৎসকের মৃত্যু
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ জুলাই ২০২১, ০১:৪৬
পটুয়াখালী ও টাঙ্গাইলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দু’জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পটুয়াখালী ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: মো: হাফিজ উদ্দিন (৬৮) ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান।
আর টাঙ্গাইলে শুক্রবার বিকেলে মধুপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার মাজেদ আলী মিয়া (৫৮) টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মারা যান।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, শুক্রবার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মাজেদ আলী মিয়া ছাড়াও আরো তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা: শফিকুল ইসলাম সজিব জানান, ডা: মাজেদ আলী মধুপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী ও চিকিৎসক মেয়ে ১ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হন। পরে তারা বাড়িতেই আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ার পর মাজেদ আলী ও তার স্ত্রীকে জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ডা: মাজেদ আলীর মৃত্যু হয়। তার স্ত্রী নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রয়েছেন।
চিকিৎসক মাজেদ আলীর বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সিংজোড়া গ্রামে। তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ৮ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম মৃত্যু হয় গত বছর ২০ এপ্রিল। এই প্রথম টাঙ্গাইল জেলায় কর্মরত কোনো চিকিৎসক মারা গেলেন।
এদিকে ডা: মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার জানান, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের পঞ্চম ব্যাচের ছাত্র ডা: মুহাম্মদ হাফিজ উদ্দিন (৬৭) করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাত সোয়া ১১টার দিকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে পটুয়াখালী ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে কক্সবাজারে আল রাবেতায় কর্মরত ছিলেন তিনি।
তার স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। মেয়ে ও এক ছেলে চিকিৎসক। অপর ছেলে প্রকৌশলী। ঢাকায় মগবাজারে ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও ছেলেরা থাকেন। মেয়ে বিবাহিত। স্বামীর সাথে দেশের বাইরে থাকেন।