২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চি ঠি প ত্র : আমি ভোট দিতে চাই

-

বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের বিনিময়ে আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা। স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্য ছিল- কথা বলার অধিকার, ভোটের অধিকার, অন্ন-বস্ত্র, শিক্ষা-চিকিৎসার সুসম বণ্টন।
স্বাধীনতার ৫০ বছরেও জাতি তার অধিকার ফিরে পায়নি। না পাওয়ার কারণ দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, রাজনৈতিক মতবিরোধ ও ক্ষমতার লোভ। আমি স্বাধীন দেশের একজন নাগরিক, আমি কেন আমার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবো? কেন স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারব না? নাগরিক হিসেবে আমার ভোট প্রয়োগে বাধা কেন? আমি ভোট দিতে চাই। ফিরে পেতে চাই আমার ভোটের অধিকার।
দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে অস্বীকার করব না। অনেক ক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন বলে আপনাদের মন থেকে অভিনন্দন। এগুলো আপনাদের দায়িত্ব ছিল; কারণ আপনারা দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে দায়িত্বরত, আমি রাষ্ট্রের নাগরিক। ভোট আমার সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক অধিকার। আমার ভোট আমি দেবো এবং আমার পছন্দসই প্রার্থীকেই দেবো।

এটিই গণতান্ত্রিক সৌন্দর্য। তাই আমার ভোটের অধিকার চাই। পাশাপাশি শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে (প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা না-ই বা বললাম), ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে অনেকটা সফল হয়েছে, নিজস্ব স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছে, দুষ্টদের দমন করা হয়েছে (ছাত্রলীগের ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের কথা না-ই বললাম), সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে, সেশনজট কমিয়ে আনা হয়েছে, অনেক বেশি নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেক ভালো কাজ করেছেন। তবুও আমার ভোটের অধিকার চাই।
অধিকার চাই ক্যাম্পাসে শান্তির পাঠদান-পাঠ গ্রহণের জন্য। অধিকার চাই গুমমুক্ত সমাজ ব্যবস্থার। বিরোধীদের দমনের নামে আইনশৃঙ্খলার অবনতি না হোক, সেটি চাই। প্রত্যেক নাগরিকের মানবাধিকার নিশ্চিত হওয়া চাই।
টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, লুটতরাজসহ যাবতীয় দলীয় দুর্নীতির অবসান চাই। গণতন্ত্র বিকাশের অধিকার চাই। অধিকার চাই নির্বিঘেœ নিরাপদে চলাফেরার। অধিকার চাই মতপ্রকাশের স্বাধীনতার।
তোফাজ্জল হোসাইন
চাটখিল-নোয়াখালী


আরো সংবাদ



premium cement