চি ঠি প ত্র : গর্বের বিদ্যুৎ আজ গর্ভে
- ১২ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
বাংলাদেশের একটি আনন্দদায়ক খবর হলো ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’। আর তা পূর্বসূচিত হলেও পূর্ণাঙ্গতার দাবিদার আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্প বাস্তবায়নপূর্বক তার রক্ষণাবেক্ষণ ও ক্রমোন্নয়নের মানসে যে কর্তৃপক্ষের হাতে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, হায় কপাল, সে কর্তৃপক্ষ মূল দায়িত্ব কতখানি পালন করবে আর করছে? সে হিসাব বাদ দিয়ে সাফল্যের ঢোল দু’চোখ বন্ধ করে দু’হাতে এই যে পেটানো শুরু করেছে- এ দিকে, পেটানোর চোটে ঢোলের দুই সুতো পুরু চামড়া ছিন্ন ভিন্ন হয়ে কোনদিকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ঢোলের বাজনা হচ্ছে খটর খটর, সে দিকে খেয়াল নেই। পেটা অবিরাম।
এখন ২০২২ সালে স্লোগান যে পাল্টে গিয়ে শুধুই শোনা যাচ্ছে ‘ঘরে ঘরে সুইচ-তার, সুইচ টিপলেই অন্ধকার’। পড়ার ছেলেমেয়েরা সেজেছে ফেসবুকের পোকা। কোনো কোনো সময় বিদ্যুৎ এলেও সেকেন্ডের মধ্যেই বিদায় নেয়। সেই ছোটবেলার পড়া ফুয়াদের গল্প বলার মতো ফুড়–ৎ ফুড়–ৎ।’ এ যেন ভানুমতির খেল, যা বাল্ব ফিউজ হওয়ার জন্য একপায়ে খাড়া। কত ফ্রিজ বিকল, ফ্রিজের খাদ্য নষ্ট হচ্ছে দেদার। দিনে তবু সামলানো যায়, রাত হলে জনজীবন গরমে মরা-বাঁচার যুদ্ধে লিপ্ত হয়। সবচেয়ে অসহ্য কারবার রংপুরের গ্রামাঞ্চলে। যেই না সন্ধ্যা ৬টা আর ওমনি রাত পৌনে ৮টা, ৮টার জন্য বিদ্যুৎ নির্বাসনে; আবার সারা রাত দু’ঘণ্টা, ঘণ্টার ব্যবধানে লুকোচুরি খেলার পর যেই ভোর ৫টা, আর ওমনি সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ গর্ভবাসী।
বিশেষ করে সন্ধ্যাকালে গৃহস্থবাড়ির রান্নাবাড়া, আবার খাবার সময় খাওয়ার মধ্যে বিদ্যুৎ উধাও হলে মনের অবস্থা কী হয় তা বলে কী হবে? বিদ্যুৎ বিল তো মাসে মাসে চান্দে চান্দে বৃদ্ধি, দায়িত্বশীলদের কথাবার্তায় সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে নেতিয়ে পড়ার সুর। তা তো হবেই, কারণ তাদের বাড়িতে তো স্পেশাল লাইন, এ দিকে যায় যাক বাড়িয়ার বাড়ি পোড়া, সে জন্য চলন নষ্ট করবে নাকি!
মো: গুল হাসান, শান্তিপুর, মিঠাপুকুর, রংপুর
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা