২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
চি ঠি প ত্র

মোটরসাইকেল চালাবে কোথায়!

-

গত ২ জুলাই বিবিসির সান্ধ্য অনুষ্ঠানে দেশের মহাসড়কগুলোতে মোটরসাইকেল চলতে দেয়া না দেয়ার উপর শ্রোতাদের মতামত গ্রহণ করা হলো। সড়ক দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য কয়েকজন পুরুষ ও নারী শ্রোতা যার যেমন বিজ্ঞোচিত মতামত দিলেন। আমি দেশের এক নগণ্য ব্যক্তি হিসেবে পরামর্শস্বরূপ দু’টি কথা বলতে চাই। দেশে এই যে, কোটির অঙ্কে মোটরসাইকেল, নিশ্চয়ই সরকারের বৈধ অনুমতিসাপেক্ষে কেউ এগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করে তার লভ্যাংশ সে পকেটে তুলেছে, সরকার তার ভ্যাট আদায় করে ছেড়েছে। এই যে, ক্রেতা সাধারণত গাড়িগুলো চালাবে কোথায়, মহাসড়কে চালাতে না দিলে? তাহলে...?
এবারে বলতে চাই, প্রথমত, মহাসড়কে উঠলেই গাড়ির বৈধ কাগজপত্র নিরীক্ষা, দ্বিতীয়ত, চালকের বয়স ২৫ বছরের কম হলে তাকে ফেরত দেয়া অথবা অন্য কিছু ব্যবস্থা নেয়া। আমরা বিশ্বরোডের সন্নিকটস্থ হওয়ায় ৪০ শতাংশ চালকই ১৬ থেকে ২২ বছর বয়সের। আর তাদের গাড়ি চালানোর গতি দেখলে মনে হয়, তারা যেন উড়ে যেতে পারলে বাঁচে, আর সাধারণ মানুষ মন্তব্য করে- হয় এ গাড়ি বাপের অবৈধ টাকার অথবা শ্বশুরের টুঁটি চেপে আদায় করা যৌতুকের। আরোহী তো দুই, তিন, চার পর্যন্ত, পারলে আরো নেয়। এ শ্রেণীর চালক মহাসড়কে নিষিদ্ধ ঘোষণা। তৃতীয়ত, গাড়ির গতি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটারের বেশি নয়; তবে যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাসগুলোও যেন একেবারে বেপরোয়া। এদেরও নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যবস্থা করা উচিত।
চতুর্থত, এসব তদারকি করার জন্য নিয়মিতভাবে শক্ত পুলিশি টহল, প্রয়োজনে সাথে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাহলে আর হাপিত্যেশ করতে হবে না আশা করি। রাস্তায় বাড়তি লেনও করতে হবে না।
মো: গুল হাসান
শান্তিপুর, মিঠাপুকুর, রংপুর


আরো সংবাদ



premium cement