ট্রেনের অভ্যন্তরে দুর্নীতি
- ০৮ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০
সম্প্রতি ট্রেনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া-আসার পথে আমার নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি যে, ট্রেনের কিছু গার্ড, নিরাপত্তাকর্মী ও একশ্রেণীর কর্মচারীর সহযোগিতায় অ্যাটেনডেন্টদের দৌরাত্ম্যে ট্রেনের এসি সুগন্ধা বা প্রথম শ্রেণীর কেবিনের যাত্রীরা অতিষ্ঠ ও যারপরনাই ক্ষুব্ধ। প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনের অ্যাটেনডেন্টরা ট্রেনের এসি চেয়ার ও প্রথম শ্রেণীর খালি সিটগুলোতে অহরহ শোভন বা তৃতীয় শ্রেণী বা টিকিটবিহীন অবৈধ যাত্রীদেরকে টাকা নিয়ে বসানোর কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। এটা তারা করে প্রকাশ্যেই, যা কোনোভাবেই শোভনীয় নয়। এসব টিকিটবিহীন অবৈধ যাত্রী এসি চেয়ারে বসে নানাভাবে ট্র্রেনের পরিবেশ বিনষ্ট করছে। কখনো অভদ্র আচরণ ছাড়াও উ”চৈঃস্বরে মোবাইলে কথা বলায় ট্রেনের এসি রুমের বৈধ টিকিটধারী যাত্রীদের ভীষণ অসুবিধা হয়ে থাকে। বিষয়টি গার্ডের নজরে আনলেও কোনো কাজ হয় না। এসি ট্রেন যাত্রীদের এ দুর্দশা নতুন কিছু নয়। তবে এই প্রবণতা দিন দিন আরো বাড়ছে। এ ধরনের পরিস্থিতি সত্যিই দুঃখজনক ও অনাকাক্সিক্ষত। যারা বাড়তি টাকা খরচ করে এসি বগির টিকিট কেনেন তারা স্বাচ্ছন্দ্যের জন্যই সেটি করেন; কিন্তু সেই পরিবেশ রেলওয়ে নিশ্চিত করতে পারছে না। ইতোমধ্যে ট্রেনের এসি রুমগুলোর আরাম-আয়েশ ও শৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়েছে। এরপর ট্রেনের এসি সুগন্ধা ও প্রথম শ্রেণীর কামড়ায় হিজরাদের নগ্ন-বিশ্রি ও অসভ্যভাবে পরিবারের ছোট ছোট সদস্যদের সামনে চাঁদা দাবির অসভ্যতা ও নোংরামি দেখার কেউ নেই। ট্রেনের টয়লেটে পানির সঙ্কট লেগেই থাকে। অবহেলা ও উদাসীনতাই রেলওয়েকে জিম্মি করে রেখেছে।
আর যেন টাকা নিয়ে ট্রেনের এসি চেয়ার বা প্রথম শ্রেণীর বগি বা কেবিনে অবৈধ যাত্রীদের বসানোর ব্যাপারে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে সতর্ক ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
গণমাধ্যমকর্মী
ফরিদাবাদ-গেন্ডারিয়া, ঢাকা-১২০৪
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা