২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

শীত বরণের প্রস্তুতি চলছে

-

‘শীত এসেছে শিশির ছুঁয়েছে
শীতের পরশ লেগেছে খেজুরের রসে।
এ মাসের শুরুতেই শীতের আবহ শুরু হয়। বাতাসে হিমের ছোঁয়া, গা শিরশির করে। ঘাসের ওপর শিশির জমে থাকে। কবি বলেন, শিউলির প্রলোভনেই হেমন্তের হাত ধরে আসে শীত। ছাতিম আর শিউলি ফুলের ঘ্রাণ ছাড়া শীতের আগমন যেন নি®প্রাণ, ছন্দ-গন্ধহীন। ষড়ঋতুর বাংলাদেশে সব ঋতুর প্রাধান্য ও প্রভাব এক নয়। গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত প্রত্যক্ষ আর শরৎ, হেমন্ত ও বসন্ত পরোক্ষভাবে প্রকৃতিতে প্রতিফলিত হয়। গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত এই তিনটি ঋতু প্রকৃতির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে; জনজীবনে প্রচণ্ড নাড়া দেয়। শরৎ, হেমন্ত ও বসন্ত জনজীবনে অনুভূত হয়, যেন তার আগমন নীরব-নিভৃতে। আমাদের দেশে শীত খুব কম সময়ের জন্য আসে। পৌষ ও মাঘ এই দুই বাংলা মাস নিয়ে শীতকাল।
শীতের পাখির মতো শীতকালও যেন এ দেশে এক বিশেষ অতিথি। বাইরে গরম থাকলেও শীতের কুয়াশার প্রথম চিহ্ন দেখলে গরম কাপড় বের করে স্বাগত জানাই শীতকে। জীবন যাপনে শীত নিয়ে থাকে আবেগ, চলতে থাকে প্রস্তুতি। শীতের আগমন বাংলার মানুষের মনে এক অনাবিল আনন্দের জন্ম দেয়।
শীত শুরুর আগেই কৃষকের ফসল কাটা প্রায় শেষ হয়ে আসে। আর গোলাভরা ধানের এ আনন্দকে উৎসবে পরিণত করতে আয়োজন করা হয় রস-পিঠার। এ আয়োজন চোখে পড়ে গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে। আর দিনকয়েক পরই কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়বে সারা দেশ। কনকনে ঠাণ্ডায় কাঁপতে কাঁপতে দৈনন্দিন কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যেতে হবে সবাইকে। তাই এখন থেকে সবাই প্রস্তুত হতে হচ্ছে শীতকে বরণ করতে।
মাজহারুল ইসলাম শামীম
শিক্ষক, ফেনী সরকারি কলেজ, ফেনী


আরো সংবাদ



premium cement