২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

অ্যাম্বুলেন্স সেবায় সিন্ডিকেট অমানবিক

-

হাসপাতালকে কেন্দ্র করে অ্যাম্বুলেন্সের মতো জরুরি পরিবহন সেবাকে ঘিরে ‘অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের’ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে পড়ছে রোগী ও তাদের স্বজনরা। আপনজনের লাশ বা মুমূর্ষু রোগী নিয়ে স্বজনের কঠিন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক কথা বলার সক্ষমতা থাকে না। এই কঠিন মুহূর্তের সুযোগ বুঝে তখন ইচ্ছে মতো ভাড়া চাপিয়ে দেয় মাইক্রোবাস ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটগুলো সংগঠিত হওয়ায় তাদের কেউ কিছু বলার সাহস পায় না এবং বাইরের কোনো গাড়িও সেখানে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। লাশবহনকারী বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ও রোগী বহনকারী মাইক্রোবাস ব্যবসায়ীরা ভাড়া নিয়ে ক্রমান্বয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকে অ্যাম্বুলেন্স। এ ছাড়াও হাসপাতালের মূল ফটক পর্যন্ত এসব গাড়ি অর্ধেক রাস্তা দখল করে রাখে! সেসব অ্যাম্বুলেন্সের বেশির ভাগই ত্রুটিপূর্ণ ও ফিটনেসবিহীন। লাশ বা রোগী নিয়ে স্বজনরা বের হওয়া মাত্রই তাদেরকে ঘিরে ধরে এবং ইচ্ছেমতো ভাড়া হাঁকে। এ ব্যাপারে হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিয়েও সন্দেহ থেকে যায়, যা অমানবিক তো বটেই, মর্মান্তিকও। অ্যাম্বুলেন্সের নির্ধারিত ভাড়ার কোনো তালিকা নেই। নেই সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালাও। যে যেভাবে পারছে, রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স নামাচ্ছে। এই সেবায় সুনির্দিষ্ট একটি নীতিমালা থাকলে বাড়তি ভাড়া আদায়সহ রোগীর ভোগান্তি অনেক কমে যেত। অ্যাম্বুলেন্স বাণিজ্য, দালাল ও অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাত থেকে সেবা রক্ষা করতে কর্তৃপক্ষের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা জরুরি।
মুহাম্মদ নুর রায়হান চৌধুরী
চট্টগ্রাম


আরো সংবাদ



premium cement