প্যারাসিটামলের কৃত্রিম সঙ্কট
- ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:৩৬
করোনাভাইরাসের লক্ষণগুলোর মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশি উল্লেখযোগ্য। সাধারণত বাংলাদেশে জ্বর-ঠাণ্ডাজনিত উপসর্গে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই প্যারাসিটামল ওষুধ সেবন করে থাকেন। মহামারীর এ সময়ে জ্বরের ওষুধের চাহিদা আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি ৫০০ মিলিগ্রামের ১০টি ট্যাবলেট সম্বলিত এক পাতা প্যারাসিটামল আগে ১০ টাকায় বিক্রি করা হলেও গত কয়েক মাস ধরে ওষুধের দোকানদাররা ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করছেন। এ ধরনের ঘটনা প্রতারণার শামিল। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে প্যারাসিটামল সরবরাহে ঘাটতি আছে, যে কারণে তারা বাড়তি দামে কিনে আনায় ক্রেতাদের কাছ থেকেও বেশি দাম রাখতে হচ্ছে। শুধু ঢাকা নয়, কুমিল্লা, গোপালগঞ্জ, পটুয়াখালী, নীলফামারী, মাগুরা, কুড়িগ্রাম, মানিকগঞ্জ, চাঁদপুর, যশোরসহ কয়েকটি জেলায়ও প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সঙ্কট রয়েছে। মহামারীকালে যেখানে মানবতাবোধ জাগ্রত হওয়ার কথা সেখানে অসাধু চক্র সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে প্যারাসিটামলের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করছে।
এতে সাধারণ মানুষকে ওষুধের জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেকে বাধ্য হয়েই বেশি দাম দিয়ে ওষুধ কিনছে।
এ ক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে বাজারে মনিটরিং বাড়াতে হবে। ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে প্যারাসিটামলসহ মানুষের জীবন রক্ষাকারী সব ওষুধের উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়াতে হবে। দ্রুত দেশে বিভিন্ন স্থানে তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আর বাজারে প্যারাসিটামলের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ার পেছনে যারা জড়িত তাদের গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে চিহ্নিত করা সময়ের দাবি এবং প্রচলিত আইনে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। সে জন্য এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া জরুরি।
ফজলে রাব্বি
শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা কলেজ, ঢাকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা