২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন

-

জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন করা আমাদের রাজনীতিতে পুরনো বদভ্যাস। তাই যারা একবার হলেও ক্ষমতা পায়, তারাই নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভীষণ ভয় পায়; পাছে ক্ষমতা যদি তাদের হাতছাড়া হয়ে যায়। সরকার জোর দিয়ে বলছে, ‘ক্ষমতায় থাকলে জনসেবার সুযোগ থাকে।’ বাস্তবতা হলো, এর সাথে জনগণের অর্থ লুটপাটের সুযোগও থাকে। এ কারণে অনেকের বক্তব্য রাজনীতিকদের অধিকাংশের মনের কথা আসলে হচ্ছে, ‘যেনতেন প্রকারে ক্ষমতায় গিয়ে সমাজের সেবার আড়ালে রাষ্ট্রীয় অর্থ লোপাট করা।’ আর কথা হলো, যারা জনগণের সত্যিকার সেবা করতে চান, তারা নিজেদের ধনসম্পদ দিয়ে তা করতে বাধা নেই। অনর্থক টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনে ইলেকশনে নামা নিষ্প্রয়োজন।
অনেক নেতা অন্তত ৭০ শতাংশ ভোটারকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে রাজনীতি করছেন। তারা পরের মাথায় দীর্ঘ দিন কাঁঠাল ভেঙে খাচ্ছেন। এ কথায় কোনো ভালো লোকের আঁতে ঘা-লাগার কথা নয়। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ, বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান এবং বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বে তিনটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচন শতভাগ না হলেও প্রায় নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হয়েছিল এ দেশেই।
এমন সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। তবে বর্তমানে যে নির্বাচন, তাকে ‘গণতান্ত্রিক’ বলা চলে না। স্বেচ্ছাচারী শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির সাংবিধানিক বিধান ছাড়া ক্ষমতার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর কিভাবে সম্ভব? তাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই একমাত্র উপায়। অবাধ নির্বাচন না হলে জাতিকে অশান্তির অনলে পুড়তে হবে।
কাজী হুমায়ুন রশীদ (পন্নী)
তুলোতলা, রায়পাড়া রেলগেট, যশোর


আরো সংবাদ



premium cement