২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বেতার ও টেলিভিশনে সংস্কার জরুরি

-


বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন সরকারি দু’টি প্রচারমাধ্যম। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বেশির ভাগ মানুষ এ দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে আজ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এর প্রধান কারণ, প্রতিষ্ঠান দুটিতে কেবল সরকারি দলের সত্য-মিথ্যা প্রশস্তিÍ গাওয়া হয়ে থাকে। দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী পাণ্ডিত্য জাহির করে অন্য দলের নেতাদের হেদায়েতি বাণী শুনিয়ে থাকেন, তার নিজের মন্ত্রণালয়ে যে অনিয়ম বিরাজ করে চলছে সেদিকে নজর দেয়ার সময়ই বের করতে পারছেন না। তাই মন্ত্রীকে অনুরোধ করছি, বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের সংস্কারের দিকে মনোযোগী হোন।
প্রথমত, গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে যারা গানের পাণ্ডুলিপি জমা দেবেন তাদের পাণ্ডুলিপি পরীক্ষা করার জন্য বেতার এবং টিভির নিজস্ব বেতনভুক্ত পরীক্ষকের পদ তৈরি করে ওই পদে লোক নিয়োগ দিতে হবে। বাইরের পরীক্ষক দিয়ে পাণ্ডুলিপি পরীক্ষা গীতিকারদের সম্পদ বেহাত হওয়ার শঙ্কার জন্ম দেয়। বর্তমানে পাণ্ডুলিপি জমা দিয়ে তা কোথায় যায় কী হয় মাসের পর মাস বছরের পর বছর চলে যায় কিন্তু তদবিরের লোক না থাকলে কিছুই জানা যায় না। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে।
দ্বিতীয়ত, তালিকাভুক্ত গীতিকার যারা আছেন তাদের সম্মানী বৃদ্ধি করতে হবে, সেই সাথে মাসিক ভাতার ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
তৃতীয়ত, পয়লা জানুয়ারি ২০২১ থেকে যারা তালিকাভুক্ত গীতিকার হওয়ার আশায় গানের পাণ্ডুলিপি জমা দিয়েছেন, তাদের পাণ্ডুলিপির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আর অপেক্ষা না করে চূড়ান্ত ফলাফল এখনই দিয়ে দিতে হবে।
চতুর্থত, পাণ্ডুলিপি জমা হওয়ার তিন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফল জানানোর বাধ্যবাধকতার ব্যবস্থা করতে হবে। দীর্ঘ দিন পাণ্ডুলিপি আটকিয়ে রেখে কোনো খোঁজখবর না জানানোর প্রবণতা বন্ধ করতে হবে।
পঞ্চমত, বাংলাদেশ বেতারে ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে কতগুলো পাণ্ডুলিপি এখন ওই দুটি প্রতিষ্ঠানে অপেক্ষমাণ আছে তা আপনার নখদর্পণে থাকতে হবে, যাতে কোনো প্রতিভাবান মানুষের প্রতিভাকে ওই প্রতিষ্ঠান দুটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা গলাটিপে হত্যা করতে না পারেন।
সর্বশেষ, আপনাকে বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের কর্মকর্তাদের কাজকর্ম নিয়মিত মনিটরিং করে ভুল-ত্রুটির বিচার করতে হবে। রাজনৈতিক কথা-বার্তার জন্য দলের সাধারণ সম্পাদকই যথেষ্ট। তাই আপনার মন্ত্রণালয়ের কাজকর্মের দিকে মনোযোগী হওয়ার বিনীত অনুরোধ করছি।
সৈয়দা শাহিনা খান
সাবেক সংসদ সদস্য ও আত্মজীবনীকার,
বেগুনবাড়ি, তেজগাঁও, ঢাকা


আরো সংবাদ



premium cement