উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকার সুষম বণ্টন
- ২৬ জুলাই ২০২১, ০১:৪৬
গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে সবচেয়ে বেশি হতাশায় আছেন উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, উচ্চশিক্ষা তথা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেরকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় এনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া হবে। সরকারের এ মহৎ ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন। সে লক্ষ্যে ইউজিসি শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও নিজস্ব শিক্ষার্থীদেরকে টিকা দেয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশনের আওতায় এনেছে। কিন্তু ইউজিসির টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। মহামারীকালে প্রতিটি শিক্ষার্থীই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ কমানো এবং শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকেই এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা নানা সমস্যায় জর্জরিত। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও পরীক্ষা না হওয়ায় শাহবাগে আন্দোলনে এক শিক্ষার্থীকে চোখ হারাতে হয়েছে। সাত কলেজের শিক্ষার্থীকে এখনো সেশনজটের সম্মুখীন হতে হয়। করোনা মহামারীকালে সেশনজট কল্পনাতীত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অচিরেই ক্লাসে ফিরতে চায়। পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি টানতে চায়। কর্তৃপক্ষের নিকট আহ্বান সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদেরকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় এনে টিকার সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা হোক। অন্যথায় হাজারো শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
ফজলে রাব্বি
শিক্ষার্থী সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা