গণতান্ত্রিক দেশে পিঠ বাঁচানোর বিরোধী দল
- ১১ জুলাই ২০২১, ০০:০০
প্রকৃত বিরোধী দল ছাড়া গণতন্ত্রের চর্চা হয় না। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে গণতন্ত্রের প্রকাশ ঘটে না। এ দেশে গণতন্ত্র সুদূর পরাহত। এ দেশে আর অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বুঝি হবে না। গণতন্ত্রের জন্য জনগণকে অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে। কখন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে জনগণের সেই আকাক্সিক্ষত গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু দার্শনিকরা বলেন, সেই আশা করা অরণ্যে রোদন মাত্র। ইতিহাস বলে, একনায়কতন্ত্র খুব বেশি দিন চলতে পারে না। যদি এ পদ্ধতি দীর্ঘদিন চলতে থাকে তবে সেটা হবে শেষ পর্যন্ত এক প্রকার রাজতন্ত্র। কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে যে শাসনতন্ত্র তথা গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন তা বৃথা যেতে পারে না। যদি শেষ পর্যন্ত তা বৃথাই যায় তবে ইতিহাস এ জাতিকে কোনো দিনও ক্ষমা করবে না। যাদের রক্ত ও ঘামের বিনিময়ে জাতি গণতন্ত্র ফিরে পেলো তারাই ক্ষমা করবে না।
পণ্ডিতরা লিখে গেছেন, গণতন্ত্র অর্জনের চেয়ে গণতন্ত্র রক্ষা করা আরো কঠিন। আজ ৯২ বছর বয়সে সেটারও বাস্তবতা স্বচক্ষে দেখলাম। কিন্তু এ দেশে কি সবাই কাপুরুষের দল? খেটে খাওয়া মানুষের রক্ত চুষে যারা লেখাপড়া শিখে মানুষ হয়েছেন তারা কোথায়? সেই সব বিদ্বান শিক্ষিত কোথায়? তারা আজ মুখ খুলছেন না কেন পূর্বপুরুষরা কি এ জন্য রক্ত ঝরিয়ে গেছেন? খুন গুমের ভয়ে যারা গণতন্ত্রের কথা উচ্চারণ করতে ভয় পায় তারা কাপুরুষ। আমরা কি এখন কাপুরুষের দেশে বাস করছি? শুধু জাতীয় সঙ্গীত বাজিয়ে প্রকৃত গণতন্ত্রের চর্চা হয় না। আন্দোলনের সমস্ত পথ বন্ধ করে দিয়ে সরকার এখন বলছে, জনগণ আন্দোলন না করলে গণতন্ত্র ফিরবে কি করে?
নিরপেক্ষ নির্বাচনের সমস্ত পথ রুদ্ধ করে দিয়ে এখন বলছেÑ জনগণ বিরোধী দল চায় না বলেই তারা বিরোধী দলকে ভোট দেয় না। তা হলে কি রক্ত ঝরিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা ব্যক্তিদের উত্তরসূরীরা স্বৈরতন্ত্র চাইছে? সর্বক্ষেত্রে প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। এ জাতির ভাগ্যে কী ঘটবে? অনেক গণতন্ত্র দেখেছি কিন্তু এমনটা কখনো দেখেনি। সরকারি চাকুরে আর সরকারদলীয় লোক ছাড়া কেউ ভালো নেই। ভালো না থাকা মানুষ যদি একবার ফুঁসে ওঠে!
মোবাশ্বের পাটোয়ারী
খাদ্য পরিদর্শক (অব:), রামনগর, যশোর
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা