টেকসই বাঁধ ও একটি পরামর্শ
- ০৮ জুলাই ২০২১, ০০:০০
আমি একজন অসুস্থ বৃদ্ধ মানুষ; বয়স ৭৯ বছর চলমান। বিবেকের তাড়নায় মাঝে মধ্যে আমার নিত্যদিনের সাথী দৈনিক নয়া দিগন্তে দু’-চার কথা লিখি। সেই সাহসে এ ছোট্ট পরামর্শলিপি পাঠালাম। যদি ছাপানো হয়, তা বাস্তবতার মুখ দেখে। তাহলে আমার জীবন সার্থক বলে মনে করব। শুনে আসছি এবং সংবাদমাধ্যমে দেখে দেখে কষ্ট পাই, আমার জন্মভূমি ছোট্ট এ নদীমাতৃক বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ভাইবোনরা প্রতি বছর বর্ষা মওসুমে অনাকাক্সিক্ষত ঘূর্ণিঝড় বন্যা বিশেষ করে সামগ্রিক জলোচ্ছ্বাসের কারণে বাঁধ ভেঙে ও ভূমিধসে প্রাণ হারান। লোনা পানিতে ফসলহানি হচ্ছে! মৎস্য খামারগুলো ভেসে গিয়ে জনগণ এবং রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েই চলেছে।
শুধু মানবিক ভ্রাতৃত্ব বোধের টানে এ পত্র। আমার পরিকল্পনার চিত্র এঁকে পাঠালাম। সরকার তৎসঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী দেশবাসী কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে বাঁধগুলো নির্মাণ করেন। কাঁচা বাঁধগুলো সংরক্ষণের জন্য কেবল কংক্রিটের বোল্ডার ও মোটা তারের জালই ভরসা। ফেলা হয় বালুর বস্তা। কিন্তু প্রতি বছর প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা যায়Ñ সবই ‘অকারণ’। তাই বন্যা বা জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে যাতে বাঁধ ভেঙে না যায়, সে জন্য আমার পরামর্শ ও অঙ্কিত চিত্র যদি গ্রহণযোগ্য হয়, তা হলে অন্তত যেসব স্থানে বাঁধগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সে জায়গাগুলোতে পরীক্ষামূলকভাবে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির অনুরোধ জানাই।
কাজী মো: গোলজার হোসেন
ইসলামপুর (তারাগঞ্জ), মিঠাপুকুর, রংপুর
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা