২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সাংবাদিকদের বেঁচে থাকা কষ্টকর

-

এই করোনা মহামারীতে অনেক সাংবাদিক-মিডিয়াকর্মী চাকরি হারিয়েছেন এবং হারাচ্ছেন। ডিজিটাল আইনে ইতোমধ্যে লেখক মোশতাকসহ আরো অনেকে মারা গেছেন। তারপরও দেশের সাংবাদিকরা এখন আতঙ্কিত। লেখকরা লেখতে ভয় পান। পত্রিকাওয়ালারা এখন যেনতেন লেখা ছাপান না। যে লেখা সরকারের বিরুদ্ধে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে সে লেখা ছাপাতে সাহস পান না। দেশের গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ, সম্পাদক, সাংবাদিক, প্রকাশক ও মিডিয়াকর্মীরা ডিজিটাল আইনের মাত্র ৯ ধারা পরিবর্তনের দাবি করছেন। তাও প্রধানত, জেলের মধ্যে লেখক মুশতাকের মৃত্যুর কারণে। প্রতিবাদী মানে সাংবাদিকরা সরকারকে ভুল ধরিয়ে দিতে সাহায্য করে থাকেন। দেশে অনেক সাংবাদিক নির্যাতিত এবং অনেকে মারাও যাচ্ছেন। করনোকালেও সাংবাদিকরা আজ বড়ই অসহায়। জীবন-জীবিকার দিক দিয়ে সাংবাদিক ও মিডিয়াকর্মীরা বড় কষ্ট ও দুঃখের মধ্যে দিন অতিক্রম করছেন। তাদের দেখার কেউ নেই। সংবাদপত্রের বেচা-বিক্রি অনেক কমে গেছে। সংবাদপত্রের মালিক ও প্রকাশকদের মাথায় হাত। এই করোনাকালে দেশে মাত্র দুই-তিনটি পত্রিকা ছাড়া পত্রিকার ব্যবসা লাটে। বলা বাহুল্য, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তাদের দ্বারা জাতির কোনো ক্ষতি হতে পারে না; বরং জাতির উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপূরণীয়। মূলত, সাংবাদিকরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে ডিজিটাল আইন সাংবাদিক ও সংবাদপত্রকে অনেকটা ঝামেলার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এ আইনের অপপ্রয়োগে সাংবাদিক সমাজ উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত। এ আইনের কিছু ধারা পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই। নয়তো সময় সময় এই আইনের অপপ্রয়োগের কারণে সরকারকে বিব্রত হওয়া বা বিপদে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে।
ইতোমধ্যে গণমাধ্যমের ওপর চাপ প্রয়োগের মাত্রা বেড়েছে। তবে এ ধরনের চাপ দেশের গণতন্ত্রের জন্য সুখবর নয়। তারপরও সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা বিবেক রক্ষা করতে গিয়ে সাহসী ভূমিকা পালন করছেন। আজকাল কথায় কথায় থানার ওসি, এসি (ল্যান্ড) থেকে সরকারি কর্তাদের কাছে সমস্যা নিরসনে কথা বলার সময় ‘জ্ঞান দিচ্ছেন আমাকে’ বলে প্রশ্ন করে থাকেন। এটাও এক ধরনের হুমকি। ‘তথ্য মূলত সরকারি সম্পত্তি’। তবে এটি সঠিকভাবে প্রকাশ করতে সরকারি কর্মচারীরা চান না। তাহলে তথ্য অধিকারের প্রয়োজন আছে কি? রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় তথ্য প্রকাশ এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ওপর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ কাজ করে থাকে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। ইতোমধ্যে অনেক সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অনেক সাংবাদিকসহ মিডিয়াকর্মী চাকরিচ্যুত হয়েছেন। তাদের এই দুর্দিনে তথ্য মন্ত্রণালয়কে এগিয়ে আসতে হবে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান বা প্রণোদনা দিয়ে তাদের পরিবারকে এই করোনাকালে রক্ষা করুন। ডিজিটাল আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে আর কোনো মায়ের কোল যেন খালি না হয় সে দিকটা গুরুত্বের সাথে দেখার জন্য সরকারের প্রতি বিশেষ অনুরোধ রইল।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
আহ্বায়ক, সচেতন নাগরিক সমাজ


আরো সংবাদ



premium cement
৮ মেগা প্রকল্পের নথি তলব দুদকের প্রত্যেক ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ছক আ’লীগের গণহত্যায় জড়িতদের জায়গা হবে না বিএনপিতে : ফখরুল আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো সাবেক এমপি ও ৪ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা আমাদের শাসক আমরা ঠিক করব ভারত নয় : ডা: শফিক প্রত্যর্পণের অনুরোধের বিরুদ্ধে হাসিনাকে কোর্টে যেতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের পরামর্শ স্বতন্ত্র বিচার বিভাগ ও বিচারপতি নিয়োগ কাউন্সিল গঠন দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত শেখ হাসিনা-জেল সুপারসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন চিঠির জবাব পেলে হাসিনাকে ফেরানোর পরবর্তী পদক্ষেপ

সকল