২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে রমজান

-

রহমত, মাগফিরাত ও মুক্তির মাস রমজান। এ মাসে মানবজীবন পাপমুক্ত করার জন্যই রোজার বিধান। রমজানে বান্দা যখন বিগত দিনে পাপ থেকে তওবা করে তখন তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। রাসূল সা: বলেছেন, রমজান পাওয়ার পরও যারা নিজেদের গুনাহগুলো ক্ষমা করাতে পারল না, তাদের চেয়ে দুর্ভাগা আর কেউ নেই। এ দিকে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনগণ দিশেহারা, জনজীবন বিপর্যস্ত। সব মুসলিম দেশে রমজান মাসের সম্মানে দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো হয়। অথচ ৯০ শতাংশ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশে কালোবাজারিরা দ্রব্যমূল্যের দাম ইচ্ছেমতো বাড়িয়ে দেয়। সরকারের উচিত কঠোরভাবে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা। সারা দিন উপবাস থেকে সিয়াম পালনের মাধ্যমে রোজাদার অভাবগ্রস্ত দারিদ্র্যপীড়িত অর্ধাহার-অনাহারে দিনাতিপাতকারী ভাইদের দুঃখ দুর্দশা উপলব্ধি করতে সক্ষম হয় এবং তাদের প্রতি সাহায্য-সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করে। ফলে ধনী-গরিবের মধ্যকার বৈষম্য দূর করা এবং দারিদ্র্যমুক্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথ সুগম হয়। সুস্থ মন ও উন্নত মানসিকতার জন্য প্রয়োজন সুস্থ দেহ। রোজা মানব দেহের সুস্থতা নিশ্চিত জাগতিক কল্যাণ ও পারলৌকিক মুক্তির বার্তা রয়েছে। ইহকালীন কল্যাণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়েই রোজাদার পারলৌকিক শান্তির পথ রচনা করে থাকে। তাই সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার অপার অনুগ্রহ লাভ করে ক্ষমা, মুক্তি ও নিষ্কৃতি লাভ করাই প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের একান্ত কাম্য।
নাসির উদ্দীন মুন্সী
আজীবন সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন


আরো সংবাদ



premium cement