সাঁতার শিখতেই হবে
- ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০
পানিতে ডুবে মানুষের মৃত্যু দেশে অনেক বেড়ে গেছে। গ্রামাঞ্চলে পুকুর, খালবিল, নদীনালা ভরাট করে অট্টালিকা তৈরির হিড়িক পড়ে যাওয়ায় এখনকার গ্রামাঞ্চলের প্রজন্মও সাঁতার শেখা হতে বঞ্চিত। পরিণামে নৌ-দুর্ঘটনাসহ নানাভাবে পানিতে ডুবে ব্যাপক হারে মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে গেছে। এই অনাকাক্সিক্ষত ও মর্মান্তিক ঘটনাগুলোয় অনেক প্রতিভাবান তরুণ হারিয়ে যাচ্ছে অকালে। তাই শহর গ্রাম নির্বিশেষে সমগ্র বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মসহ সব বয়সের সাঁতার না জানা ব্যক্তিদের জীবন বাঁচানোর প্রয়োজনে সাঁতার শেখার বিকল্প নেই। না জানাদের প্রশিক্ষণ এবং জানা ব্যক্তিদের অনুশীলন কিংবা প্রতিযোগিতার জন্য প্রথমেই খুঁজে নিতে হবে নিরাপদ, জীবাণুমুক্ত ও স্বাভাবিক জলাশয়; যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। প্রশিক্ষণ, অনুশীলন কিংবা প্রতিযোগিতারত অবস্থায় কেউ হাঁফিয়ে উঠলে কিংবা দুর্বল বা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে দাঁড়ালে পানির গভীরতায় দেহের সর্বোচ্চ তিন-চতুর্থাংশ বা বুক সমান শরীর পানির নিচে থাকে। এর চেয়ে বেশি অর্থাৎ শরীরের উচ্চতার সমান কিংবা বেশি হলে ডুবে গিয়ে মর্মান্তিভাবে সলিল সমাধি ঘটার আশঙ্কা থেকে যাবে। বেশি পানিতে নামতেই যদি হয়, নৌকা বা যথাযথ নিরাপত্তা সামগ্রী থাকা চাই। অন্য দিকে পানিতে জীবাণু ও রাসায়নিক পদার্থের মিশেল নেইÑ এটা নিশ্চিত হতে হবে। অর্থাৎ বাঁচার জন্য শিখতে হবে, কিন্তু শিখতে গিয়ে মৃত্যু ডেকে আনা যাবে না।
মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ
বারইয়ারহাট, মিরসরাই, চট্টগ্রাম
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা