কোনটা সঠিক জানা আবশ্যক
- ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০৩
১৩ জানুয়ারি বিবিসির অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকারে জানা গেল বিষয়টার পেছনে এ দেশে শীতকালীন করোনার আশঙ্কাটাই মুখ্য, কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়। ওয়ায়েজিনদের পক্ষ থেকে জানা গেল, বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞার কথা। কোনো কোনো বক্তার উসকানিমূলক বক্তব্যে পরিস্থিতি ‘অস্থিতিশীল’ করার আশঙ্কা থেকে ওই নিষেধাজ্ঞা। ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের শেষের দিকে তিনিও যেন উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়াকেই কারণ হিসেবে উপস্থাপন করলেন।
সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অধ্যুষিত এ দেশে প্রায়ই একটা অজুহাত খাড়া করা হয় যে, কেউ কেউ কুরআনের অপব্যাখ্যা দিয়ে কথা বলেন। আর সে জন্যও নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়ে থাকে যা শুনতে বড় অদ্ভুত মনে হয়। আমরা সাধারণ মানুষ দেখি, দেশের শ্রদ্ধাভাজন আলেমরাই আমাদের জন্মোত্তর নাম রাখা হতে শুরু করে আকিকা, কোরবানি, জানাজা, কুলখানি, দোয়া খায়ের করে থাকেন। সীমিতসংখ্যক আলেম ওয়াজ নসিহত, তাফসির, তরজমা করলেও অন্য আলেম-ওলামা সেসব মাহফিলে শ্রোতা হিসেবে উপস্থিত থাকেন, কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে অপব্যাখ্যা কিংবা উসকানিমূলক ভাষার ব্যবহার ইত্যাদি করা হয় না। তাই বিনীত অনুরোধ জানাই, কোনটা সঠিক ব্যাখ্যা এবং কোনটা উসকানির ভাষা তা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে উল্লেøখ করুন। কাদা ছোড়াছুড়ি বড়ই লজ্জাকর।
কাজী মো: গোলজার হোসেন
ইসলামপুর, পায়রাবন্দ, মিঠাপুর, রংপুর
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা