দেশ চালাতে কিছু পরামর্শ
- ০৩ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০
বাংলাদেশে বসবাসকারী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মগ্রন্থ, তথা কুরআন, বেদ, বাইবেল, ত্রিপিটক এবং উপজাতিদের ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি সর্বোচ্চ পর্যায়ের কাউন্সিল গঠন করা হোক। কোনো সমস্যা বা হারাম, হালাল, জায়েজ, নাজায়েজ, বৈধ-অবৈধ প্রভৃতি বিষয়ে কাউন্সিল ফায়সালা দেবে। প্রতি চার বছর পরপর সংসদের নির্বাচন হওয়া উচিত। তখন ক্ষমতাসীন দলীয় সরকার পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। এই সরকার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করবে। নির্বাচিত নতুন সরকার গঠন করা হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদত্যাগ করবে। সংবিধান-মাফিক এভাবে আজীবন চলবে। কুরআন নয়, শুধু বেদ অনুসারেও মূর্তি, ভাস্কর্য নিষিদ্ধ। অনেক বিজ্ঞ ব্যক্তি বুঝে না বুঝে নানা কথা প্রচার করছেন। বাংলাদেশে রাজতন্ত্র চলবে না। বরং প্রয়োজনে ইসলামী গণতন্ত্র চালু করা যায়।
স্কুল, কলেজে যার যার ধর্মের বিষয়ে লেখাপড়া করতে হবে। এর ওপর পরীক্ষা হলে পাস করতে হবে। স্কুল, কলেজে খেলার মাঠ থাকতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের আলাদাভাবে খেলাধুলা করতে দিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ন্যায়-নীতি ও নৈতিকতা শিক্ষা দিতে হবে। দেশের শীর্ষ ব্যক্তিরা সৎ হলে দেশ সৎভাবে চলার কথা। তারা অসৎ হলে দেশ ঘুষ, দুর্নীতিতে সয়লাব হতে পারে। ১৮৬১ সালের বা ঔপনিবেশিক আমলের শাস্তিমূলক পুলিশ আইন বাতিল করুন। স্বাধীন দেশের উপযোগী সেবামূলক পুলিশ আইন চালু করতে হবে। প্রচলিত আয়কর আইন বাতিল করুন। ফলে সুদ-ঘুষ কমবে। জাকাত আইন চালু করুন সমাজের সবার কল্যাণের স্বার্থে। বেকারভাতা, বিবাহভাতা চালু করুন। এতে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, ধর্ষণ কমবে। বিশ্ব শান্তির জন্য বিশ্ব রাষ্ট্রের ভাবনা কি অবাস্তব? ইসলাম, শান্তির, মুক্তির, মানবতার, সহনশীলতার ধর্ম। ‘কুরআন পড়–ন, কুরআন বুঝুন, কুরআন প্রচার করুন।’ সর্বশক্তিমান আল্লাহ, ঈড়ৎড়হধ ঠরৎঁং নির্মূল করুন। মন্দ ব্যক্তিদের হাত থেকে রক্ষা করুন এবং শুধু ন্যায়বান লোকের হাতে শাসন ক্ষমতা প্রদান করা দরকার।
আমিনুল হক, ঢাকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা