প্রধানমন্ত্রী সমীপে আবেদন
- ২৬ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:৩২
রাজধানীর মোহাম্মদপুর নুরজাহান রোডে এস কে কম্পিউটার টেকনোলজি নামে আমার ছেলের একটি কম্পিউটার অ্যাক্সেসরিজ ও কম্পিউটার মেরামতের দোকান আছে। গত ১৫ জুলাই রাত ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাসায় আমরা চলে আসি। ১৬ জুলাই সকাল সাড়ে ৭টার সময় দোকান খুলতে গিয়ে দেখি, দোকানের শাটারের চারটি তালা নেই। শাটার উঠিয়ে দোকানে প্রবেশ করে দেখি চোরেরা কাস্টমারের মেরামত করতে দেয়া এইচপি ও ডেল ব্র্যান্ডের ছয়টি পুরনো ল্যাপটপ, আমার একটি তোসিবা ব্র্যান্ডের ও একটি সনি ভায়ো ব্র্যান্ডের পুরনো ল্যাপটপসহ মোট আটটি ল্যাপটপ, যার মূল্য আনুমানিক দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১২টি টিপি লিঙ্ক, টেন্ডা ও এমটি ব্র্যান্ডের রাউটার- যার মূল্য ২৫ হাজার টাকা ও ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ এক হাজার ৮০০ টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে। মোহাম্মদপুর থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করি। কিন্তু আজ পর্যন্ত থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে আসামিদের খুঁজে বের করেননি। আমার ছেলের দোকান চুরি ও ডাকাতি পাঁচ-ছয়বার হয়েছে। থানায় একাধিকবার অভিযোগ দিলেও আমলে নেয়নি। আমার বাসায়ও কয়েকবার ডাকাতি হয়েছে। এমনকি অজ্ঞাতনামারা ও ছেলের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। প্রায়ই আমাদের বিভিন্নভাবে জীবন নাশের হুমকি দেয়া হয়। মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় প্রায়ই সন্ত্রাসী, চুরি, ডাকাতি, মাদক নিয়ে মারামারি ও কাটাকাটি হচ্ছে। যদি থানাপুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করত তাহলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেড়িয়ে আসত। দোকানের সিসি ক্যামেরায় চোর এবং ডাকাতদের আলামত পাওয়া যায়। ২০১৫সালের এপ্রিল মাসে আমার ছেলে রাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা মাথায় ও শরীরের ১৮টি স্থানে কোপ দেয়। ফলে সে প্রায় ছয় মাস চিকিৎসাধীন ছিল। থানায় অভিযোগ দেয়ার পরও আসামিদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। ওই অজ্ঞাতরাই আবার দোকান চুরি, ডাকাতি ও আমার ছেলেকে মেরে ফেলার জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে দিন যাপন করছি। বিশ্বব্যাপী করোনায় মানুষ মারা যাচ্ছে এবং আক্রান্ত হচ্ছে। তাই সবাই সহনশীল হওয়ার কথা। কিন্তু এ মহাদুর্যোগের মধ্যেও আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারছি না। একের পর এক আমাদের ওপর হামলা, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই হচ্ছে। গত ৩ আগস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি আবেদন জমা দিয়েছি। মানবিক দিক বিবেচনা করে সন্ত্রাসী, চুরি, ডাকাতি, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আবেদন জানাই।
মোসাম্মৎ রাজিয়া
২৪/ই, বাঁশবাড়ী, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা