২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কৃষকদের অবসরভাতা

-

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। এ দেশের সংস্কৃতি, সামাজিক রীতিনীতি এবং সার্বিক জীবনপ্রবাহ কৃষিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। বাংলাদেশ এখনো গ্রামীণ বাংলাদেশ-পল্লী বাংলাদেশ। কেননা এ দেশের ৬০-৭০ শতাংশ মানুষ এখনো গ্রামে বাস করে। বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ আসে কৃষি থেকে। কৃষিতে ৪১ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান হয়। কৃষি বাংলাদেশের ১৬ দশমিক ৫ কোটি মানুষের শুধু খাদ্য ও পুষ্টির নিশ্চয়তা বিধান করে না, বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামালের জোগানও দেয়। নিঃসন্দেহে এটি একটি মহৎ পেশা। কারণ কৃষকরাই জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত রাষ্ট্রের অর্থনীতি সচল রাখার জন্য সংগ্রাম করে। অথচ এই দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রকে সেবা দেয়া কৃষক নামের যোদ্ধাদের কোনো স্বীকৃতি দেয়া হয় না। তাই কৃষকদের পেশাটিকে পেশা গণ্য করে, পেশাজীবীদের যেমন নির্দিষ্ট বয়সের পর অবসরভাতা দেয়া হয়, তেমনি তাদেরকেও দেয়া হোক। কৃষকদের অবসরভাতার ব্যবস্থা করা হলে বাংলার ঘরে ঘরে চোখে-মুখে হাসি ফুটবে। যে ঘোষণায় তারা নিজেদের জীবন ও পেশাকে নিরর্থক নয়, ভাববে সার্থক।
কৃষকদের নির্দিষ্ট বয়সের পর অবসরভাতা প্রদান করা হবে কৃষকদের অবদানের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার। মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উপহার হিসেবে কৃষকদের অবসরভাতা প্রদান হবে এক যুগান্তকারী ঘোষণা। বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী এমন ঘোষণা দিলে বাংলাদেশের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন।
আব্দুর রউফ
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়


আরো সংবাদ



premium cement