তিস্তা নদী প্রকল্প
- ২৭ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০
তিস্তা নদীর পানিসঙ্কট উত্তরণে চীনের সাহায্যে বাংলাদেশ সরকার আগামী ডিসেম্বরে একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করবে। এতে বর্ষা মৌসুমের অতিরিক্ত পানি ধারণ করে শুকনো মৌসুমে তা সরবরাহ করা হবে। এতে তিস্তার পানি সঙ্কটের সুরাহা হবে। তিস্তা নদীর সমস্যা বহু বছর ধরে ঝুলে আছে। এই সমস্যার সমাধানকল্পে ভারতের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি, এটাই অপ্রিয় সত্য কথা। ২০১৯ সালে চীন সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা সমস্যার সমাধানকল্পে চীনের সহযোগিতা কামনা করেছিলেন। এই চীনা বিনিয়োগ তারই পরিপ্রেক্ষিতে পাওয়া যাবে বলে খবরে প্রকাশ। প্রকল্পটি খুবই সময়োপযোগী। দ্রুত এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা আবশ্যক। আমাদের মতে, প্রকল্পের স্থান এমনভাবে নির্ধারণ করা দরকার যেন উজানে সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত এতে উপকৃত হয় এবং ভাটিতে তিস্তার পুরো অববাহিকা এমনকি যতটা দক্ষিণে সম্ভব, এই প্রকল্পের উপকার মেলে। নদীর প্রস্থ সঙ্কুুচিত না করে এবং সর্বোচ্চ প্রস্থকে মানদণ্ড হিসেবে নিয়ে সেই মতে নদী চওড়া ও গভীর করে ভিত শক্ত করে, দুই পাড় উঁচু করে বনায়ন করে ধারণক্ষমতা বিপুলভাবে বাড়াতে হবে। উভয় পাশে একাধিক এবং নিচে দক্ষিণমুখী প্রবাহ বৃদ্ধিকারী সেচের ব্যবস্থা এতে রাখতে হবে। এতে যদি কিছু লোককে পদ্মা সেতুর এলাকার মতো পুনর্বাসন করতেও হয়, তবু তা করা চাই। কারণ একই সমস্যায় বার বার খরচ করা এই গরিব দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষ আবেদন প্রকল্পের কাজ পেছাবেন না। সম্ভব হলে এগিয়ে আনুন আর এতে কারো আপত্তি কানে তুলবেন না। এই প্রকল্প সফল হলে উজান থেকে বয়ে আসা প্রধান প্রধান নদীতে অনুরূপ প্রকল্প হাতে নিতে হবে, যেন কৃষি-নৌপথ, মৎস্যসম্পদ পরিবেশ, প্রকৃতির উষ্ণায়ন ইত্যাদিতে সুফল পাওয়া যায়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নে অনেক সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আশা করি, কৃষকদের বাঁচা-মরার প্রশ্নে এবারো সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হবেন না।
ডা: টি আই এস নূর নবী
৪ নং ডিআইটি মার্কেট, না’গঞ্জ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা