এ যেন ধর্ষকদের অভয়ারণ্য
- ১১ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ঘটনায় যেন প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। কতটা পাশবিক, নির্মম আর ভয়ানক ঘটনা। প্রকাশ্যেই এত নিষ্ঠুর কাজ করার সাহস এরা পায় কোথা থেকে? ঘটনাটির পর সবাই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ মিছিল করেছে, যেন এমন ঘৃণ্য অপরাধের সাথে জড়িতদের ফাঁসি দেয়া হয়। কিন্তু সেটিও কি আদৌ সম্ভব? নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, এর ৯ ধারা অনুযায়ী, ৯(১) যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন। (২) যদি কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ঘটনার পরবর্তী তার অন্যবিধ কার্যকলাপে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তা হলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে এবং এর অতিরিক্ত অন্যূন এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।
অর্থাৎ ভিক্টিম যদি মারা না যায়, তাহলে অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া যাবে না। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেও আইনের মারপ্যাঁচে অপরাধীরা মুক্তি পেয়ে যায়। যার ফলে এরা হয়ে ওঠে আরো ভয়ানক। ধর্ষণের মতো এমন নিকৃষ্ট, বর্বরোচিত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করতে হবে এবং অতিদ্রুত এর লাগাম টানতে হবে। অন্যথায়, এমন অপরাধ জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাবে।
মামুন হোসেন আগুন
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ, ঢাকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা