১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ডিবি হেফাজতে, এ পর্যন্ত যারা গ্রেফতার হলেন

গ্রেফতার হওয়া সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন - ছবি - ইন্টারনেট

হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে রাখা হয়েছে।

রোববার তাকে আদালতে তুলে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন ঢাকার আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া।

‘উনাকে এখন ডিবিতে রাখা হয়েছে। আজকে আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হতে পারে,’ বলেন তিনি।

শনিবার রাতে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে গ্রেফতার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব।

অন্যদিকে একই রাতে বরিশাল-২ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মো: শাহে আলম তালুকদারকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের ভাষ্যমতে, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে মারধরের পর ঢাকার গুলশান থানায় হস্তান্তর করে একদল মানুষ।

পরে কোটা আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই নিহত শিক্ষার্থী নাঈম রহমান হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

শাহে আলমকেও রোববার আদালতে তোলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজু আহমেদ।

যে অভিযোগে ফরহাদ হোসেন গ্রেফতার
গত ৫ আগস্ট গণ-আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর থেকে ‘আত্মগোপনে’ থাকা সাবেক মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে শনিবার রাতে ঢাকার ইস্কাটন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

পুলিশ জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত পোশাকশ্রমিক রুবেল হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ২২ আগস্ট ঢাকার আদাবর থানায় মামলাটি করা হয়েছিল। সে কারণে শনিবার রাতেই ফরহাদ হোসনকে আদাবর থানায় হস্তান্তর করে র‍্যাব।

এরপর তাকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া।

যে মামলায় ফরহাদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, ওই একই মামলায় আসামি তালিকায় রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।

আগে যারা গ্রেফতার হয়েছেন
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দুই ডজনেরও বেশি মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উপদেষ্টা ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং শেখ হাসিনার সাবেক জ্বালানি, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী রয়েছেন।

এছাড়া সাবেক দুই আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং এ কে এম শহীদুল হকসহ পুলিশের বেশ কয়েকে জন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়েছে, যেগুলোর বেশিরভাগই হত্যা মামলা।

এছাড়া গণহত্যা এবং অপহরণের মতো অভিযোগেও মামলা হয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে।

ওইসব মামলার আসামির তালিকায় তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামও রয়েছে। একইভাবে নাম রয়েছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ অনেক নেতাদের।

তাদের মধ্যে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরপরই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশত্যাগের চেষ্টা করেন আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য।

সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়।

সেসময় বিমানবন্দর থেকে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত এবং ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মাহমুদকেও আটকের খবর আসে গণমাধ্যমে।

পরে সৈকত ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সাথে পলককেও একইদিনে খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

এদিকে সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলের অনেক নেতার বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, গুম ইত্যাদির মামলা করা হচ্ছে।

তাদের অনেককে টিপু মুনশির মতো গ্রেফতার করা হয়েছে, অনেককে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

এখন পর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মণি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান।

এছাড়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবি তাজুল ইসলাম, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী রাশেদ খান মেননও গ্রেফতার হয়েছেন।

সরকারের মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেমন গ্রেফতার হয়েছেন, তেমনি সাবেক অনেক কর্মকর্তাও আটক হয়েছেন।

এদের মধ্যে অন্যতম আলোচিত সেনা কর্মকর্তা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান।

৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

সেইসাথে চট্টগ্রাম বন্দরের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, যিনি এক সময় র‍্যাবে কর্মরত ছিলেন, তাকেও আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
৬ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করবে সরকার রাজনীতিবিদদের সংস্কার হওয়ার আহ্বান ড. মঈন খানের অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার পাচ্ছেন ৫ লাখ, আহতরা ১ লাখ টাকা সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে যে সব প্রশ্ন সামনে আসছে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সমর্থন করে না : রফিকুল ইসলাম খান ১১ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয়েছে মেট্রোরেল চলাচল নারায়ণগঞ্জে আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক ওরিয়নের ওবায়দুল করিম পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ গোয়াইনঘাটের অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা, আটক ১ প্রশাসনে অবিলম্বে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন : স্পিক বাংলাদেশ ইবিতে ভিসি নিয়োগের দাবিতে ফের বিক্ষোভ সমাবেশ

সকল