নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা রাসেলের অবস্থান জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৪ জুলাই ২০২৪, ১৯:০১
নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমান রাসেলের অবস্থান জানাতে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে ছাত্রদল নেতা রাসেলকে আটক করা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসনের হাইকোর্ট বেঞ্চ নিখোঁজ রাসেলকে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ রুল জারি করেছেন বলে রিটের পক্ষের আইনজীবী ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানিয়েছেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সাথে ছিলেন আইনজীবী মো: মাকসুদ উল্লাহ।
এর আগে গত ১০ জুলাই নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমান রাসেলকে হাজির করতে হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস রিট দায়ের করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আতিকুরের বাবা আবুল হোসাইন সরদার এ রিট দায়ের করেন বলে জানান ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘সন্তানের সন্ধান চেয়ে আজ (বুধবার) হাইকোর্টে আতিকুরের বাবা আবুল হোসাইন সরদার হেবিয়াস কর্পাস রিট করেছেন। তিনি সন্তানের সন্ধান চান। আমরা আশা করছি, আগামী সপ্তাহে এই রিট আবেদনের ওপর শুনানি হবে।’
তিনি আরো বলেন,‘দেশে আজকে যে একটা অমানবিক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বা চলছে। রাসেলকে গুম করা এটা একটা অন্যতম উদহারণও বটে।’
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
একটি জাতীয় দৈনিকে মঙ্গলবার ‘আট দিন ধরে নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা আতিক’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিটটি দায়ের করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আট দিন আগে নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমান রাসেলের খোঁজ পাওয়া যায়নি এখনো। তার পরিবার সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ, হাসপাতাল, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা সব জায়গায় খোঁজ নিয়েছে। কোথাও তার খোঁজ পাননি।
তবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেছেন, আতিককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। তিনি গোয়েন্দা হেফাজতে আছেন।
রাজধানীর পুরান ঢাকার আজিমপুর অগ্রণী স্কুলের সামনে থেকে ১ জুলাই আতিকুর রহমান নিখোঁজ হন। গত আট দিনে আতিকের সন্ধানে তার বাবা, দুই বোন পাগলপ্রায়। নিখোঁজ আতিকুর রহমান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবং ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি। হঠাৎ করে কেন তার এ নিরুদ্দেশ, তা নিয়ে সংগঠনে চলছে নানা আলোচনা।