১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন মতিউরের স্ত্রীর

বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন মতিউরের স্ত্রীর - ছবি : সংগৃহীত

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত ইফাতের কথিত বাবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো: মতিউর রহমানের স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরার উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছেন।

রোববার (৩০ জুন) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে এই আবেদন করেন। আদালত আগামী ২৮ জুলাই এই আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেন। দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার (২৪ জুন) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল আদালত মতিউর রহমান, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ ও তাদের ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবকে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো: মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চারবার অনুসন্ধান করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রতিবারই অনুসন্ধান পর্যায় থেকে শেষ হয়েছে কার্যক্রম। এক ধরনের অলিখিত ‘ক্লিনচিট’ দেয়া হয়েছে মতিউরকে। মতিউরের বিরুদ্ধে ফের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

ছাগলকাণ্ডের পর মতিউরের নামে-বেনামে শত শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য সামনে এসেছে। এছাড়া মতিউরের সন্তানদের বিলাসবহুল গাড়ি, পাখি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এবার পঞ্চম বারের মতো তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলো।

এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত ১৮ বছরের ব্যবধানে ২০০৪, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০২১ সালে মোট চারবার অনুসন্ধান করে দুদক। তবে নথিভুক্তির মাধ্যমে এসব অনুসন্ধানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করে দুদক। অর্থাৎ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরে মতিউর রহমানকে নিয়ে কমিশনের অনুসন্ধান ও পরবর্তী কার্যক্রম থেমে যায়।

সূত্র জানায়, দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মইনউদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ৪ জুনের কমিশন সভায় মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে পঞ্চম বারের মতো অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একজন উপ-পরিচালককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধানী টিম গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে সদস্যরা কাজও শুরু করেছেন।

১৯৯৬ ও ১৯৯৭ এই দুই বছর বেনাপোল বন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার ছিলেন মতিউর রহমান। সে সময়ই তার বিরুদ্ধে বেপরোয়া ঘুষ নেয়া ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ আছে, দুই বছর দায়িত্ব পালনকালে বেনাপোল বন্দর থেকেই তিনি অঢেল টাকা কামিয়েছিলেন। দেশে-বিদেশে অন্তত কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ করেছেন এই কর্মকর্তা। এসব সম্পদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার পর দুদক তার বিরুদ্ধে প্রথম অনুসন্ধান টিম গঠন করে ২০০০ সালের দিকে। তখন দীর্ঘ সময় অনুসন্ধান ঝুলিয়ে রেখে ২০০৪ সালে অভিযোগ পরিসমাপ্তি করা হয়।

এদিকে রোববার (২৩ মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মো: মতিউর রহমানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement

সকল