০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ জিলহজ ১৪৪৫
`

দুদকের মামলা : এসকে সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২ সেপ্টেম্বর

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা - ফাইল ছবি

ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত।

বুধবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু দুদক প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন নতুন এ দিন ধার্য করেন।

২০২১ সালের ১০ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো: গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদি হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলা করেন। মামলায় এস কে সিনহার বিরুদ্ধে নিজের ভাই ও আত্মীয়ের নামে ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করে তা স্থানান্তর ও হস্থান্তরের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে উত্তরা আবাসিক এলাকায় নিজের নামে একটি প্লট বরাদ্দ নেন। পরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহার নামেও রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে তিন কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ করান।
এরপর প্রভাব খাঁটিয়ে তিন কাঠার প্লটটি পাঁচ কাঠায় উন্নীত করান। একপর্যায়ে পূর্বাচলের প্লটটিকে উত্তরার চার নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর সড়কে (বাড়ি নম্বর ১/এ) স্থানান্তর করিয়ে রাজউকের অনুমোদন করান। বরাদ্দ পাওয়ার পর এস কে সিনহা প্লটটির ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ নিয়োগ করেন তারই আত্মীয় শঙ্খজিৎ সিংহকে।

অনুসন্ধানে দুদক প্রমাণ পায় যে, সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নিজেই উত্তরার ওই প্লটের অনুকূলে রাজউকে মোট ৭৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। পরে তার তত্ত্বাবধানেই ওই প্লটে নয়তলা ভবন নির্মাণ হয়। ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৬ কোটি ৩১ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকা।

দুদকের মামলার অভিযোগে বলা হয়, রাজউকের প্লটের মূল্য ৭৫ লাখ টাকা। এছাড়াও ভবনের নির্মাণব্যয় ৬ কোটি ৩১ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকা। সব মিলিয়ে এ বাবদ ৭ কোটি ৬ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকা ব্যয় হয়। এর মধ্যে জনৈক খালেদা চৌধুরীর কাছ থেকে ভবনের একটি ফ্ল্যাট বিক্রির অগ্রিম ৭০ লাখ টাকা নেয়া হয়। এ টাকা বাদে অবশিষ্ট ৬ কোটি ৩৬ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকা এবং আত্মীয় শঙ্খজিৎ সিংহের নামে একটি ব্যাংক হিসাবে স্থায়ী ও নগদে ৭৮ লাখ টাকা জমা পাওয়া গেছে বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

দুদকের অভিযোগ, সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ক্ষমতার অপব্যবহার করে মোট ৭ কোটি ১৪ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। যা তিনি ভাই ও আত্মীয়ের নামে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্থান্তর করেন। এ সম্পদ অর্জনের বৈধ কোনো উৎস নেই এবং তা তার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।

২০২১ সালের ৯ নভেম্বর ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় ঢাকার একটি আদালত এস কে সিনহাকে ১১ বছর কারাদণ্ড দেয়।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
ইউক্রেনের ৩৬টি ড্রোন ধ্বংস করেছে রুশ বাহিনী সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসেব দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট কবি আসাদ বিন হাফিজের ইন্তিকালে জামায়াতের শোক নওয়াপাড়ায় বেসরকারি হাসপাতালে ভুল অপারেশনে রোগীর মৃত্যু আমরা অনুরোধ জানিয়েছি, অর্ডার করিনি ‘বৈষম্যমূলক’ পেনশন স্কিমের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু গাজার শুজাইয়ায় চতুর্থ দিনের মতো লড়াই অব্যাহত দেশে আর কখনোই জঙ্গিবাদ-মৌলবাদের উত্থান হবে না : র‌্যাব ডিজি কানাডায় ধর্মঘটে ওয়েস্টজেটের আরো ফ্লাইট বাতিল, দুর্ভোগে লক্ষাধিক যাত্রী মা-বাবা হত্যার দায়ে ছেলের ফাঁসির আদেশ মিরসরাইয়ে লোকালয়ে অজগর, অতঃপর যা হলো

সকল