১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

অসহায় মানুষদের আইনি সেবা প্রদানে মানবিক হতে হবে : প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান - ফাইল ছবি

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, অসহায় মানুষরা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আদালতে আসেন, আইনজীবীদের দ্বারস্থ হন। অসহায় মানুষগুলোকে আইনি সেবা প্রদানে সেই দায়িত্ব পালনে আমাদের সবাইকে মানবিক হতে হবে।

সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আয়োজিত ‘আইন পেশার আদর্শ ও নৈতিকতা এবং বিচারিক পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। পেশাগত নৈতিকতা ও মূল্যবোধের যথাযথ অনুশীলন আইন পেশার মূলভিত্তি।

প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, যদি পেশাগত মূল্যবোধের অনুশীলন ব্যতিরেকে আইন চর্চা করা হয়, তবে আমাদের বিচারাঙ্গন পরিণত হবে নিছক কাঠ-পাথরের কিছু স্থাপনায়।

সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হকের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল সেশনে বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার। এছাড়া সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বক্তব্য দেন।

প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, যদি বিচারাঙ্গনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত আইনজীবীরা আইন পেশা পরিচালনায় পেশাগত নৈতিক মানদণ্ড রক্ষায় যদি যথাযথ গুরুত্ব প্রদান না করেন, তাহলে মানুষের অধিকার রক্ষার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার যে মহান উদ্দেশ্য নিয়ে দেশের বিচারালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যে উদ্দেশ্যের কথা প্রোথিত রয়েছে আমাদের মহান সংবিধানে, সেই উদ্দেশ্য সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়ে যাবে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের সমাজের সবচেয়ে অসহায় মানুষরা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আদালতে আসেন, আইনজীবীদের দ্বারস্থ হন। এ অসহায় মানুষগুলোকে আইনি সেবা প্রদানের যে নৈতিক দায়িত্ব আইনজীবীর রয়েছে, সেই দায়িত্ব পালনে আমাদের সবাইকে মানবিক হতে হবে।
মনে রাখতে হবে, আইনজীবী হিসেবে আপনার সাফল্য কেবল মামলার জয়-পরাজয়ের নিক্তিতে মাপলেই চলবে না। বরং আদালতে আইনের ব্যাখ্যা প্রদানে আপনি কতটা মানবিকতা ও উদারতার পরিচয় দিচ্ছেন কিংবা মামলায় জয় লাভের তুলনায় আপনি ন্যায় প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব প্রদান করছেন কি না এ বিষয়গুলোই কিন্তু আপনাকে একজন সত্যিকারের আইনজীবী হিসেবে অন্যদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেবে।


প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, অসহায় মানুষরা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আদালতে আসেন, আইনজীবীদের দ্বারস্থ হন। অসহায় মানুষগুলোকে আইনি সেবা প্রদানে সেই দায়িত্ব পালনে আমাদের সবাইকে মানবিক হতে হবে।

সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আয়োজিত ‘আইন পেশার আদর্শ ও নৈতিকতা এবং বিচারিক পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। পেশাগত নৈতিকতা ও মূল্যবোধের যথাযথ অনুশীলন আইন পেশার মূলভিত্তি।

প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, যদি পেশাগত মূল্যবোধের অনুশীলন ব্যতিরেকে আইন চর্চা করা হয়, তবে আমাদের বিচারাঙ্গন পরিণত হবে নিছক কাঠ-পাথরের কিছু স্থাপনায়।

সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হকের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল সেশনে বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার। এছাড়া সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বক্তব্য দেন।

প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, যদি বিচারাঙ্গনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত আইনজীবীরা আইন পেশা পরিচালনায় পেশাগত নৈতিক মানদণ্ড রক্ষায় যদি যথাযথ গুরুত্ব প্রদান না করেন, তাহলে মানুষের অধিকার রক্ষার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার যে মহান উদ্দেশ্য নিয়ে দেশের বিচারালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যে উদ্দেশ্যের কথা প্রোথিত রয়েছে আমাদের মহান সংবিধানে, সেই উদ্দেশ্য সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়ে যাবে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের সমাজের সবচেয়ে অসহায় মানুষরা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আদালতে আসেন, আইনজীবীদের দ্বারস্থ হন। এ অসহায় মানুষগুলোকে আইনি সেবা প্রদানের যে নৈতিক দায়িত্ব আইনজীবীর রয়েছে, সেই দায়িত্ব পালনে আমাদের সবাইকে মানবিক হতে হবে।

মনে রাখতে হবে, আইনজীবী হিসেবে আপনার সাফল্য কেবল মামলার জয়-পরাজয়ের নিক্তিতে মাপলেই চলবে না। বরং আদালতে আইনের ব্যাখ্যা প্রদানে আপনি কতটা মানবিকতা ও উদারতার পরিচয় দিচ্ছেন কিংবা মামলায় জয় লাভের তুলনায় আপনি ন্যায় প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব প্রদান করছেন কি না এ বিষয়গুলোই কিন্তু আপনাকে একজন সত্যিকারের আইনজীবী হিসেবে অন্যদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেবে।


আরো সংবাদ



premium cement