১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
সাবেক বিচারপতি এসকে সিনহার সাজা

বিচার বিভাগের জন্য এটা সুখকর নয় : আইনমন্ত্রী

ফার্মার্স ব্যাংক-দুর্নীতি দমন কমিশন-এস কে সিনহার রায়
- ছবি - সংগৃহীত

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, এস কে সিনহার রায়ে এটাই প্রমাণিত।

তিনি বলেন, আমিও আইনজীবী। তাই আমার জন্য এবং বিচার বিভাগের জন্য এটা সুখকর নয়।

মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার কারাদণ্ডের আদেশের বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়া মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এর আগে, ওই মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালতে এই মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।

মামলায় চার্জশিটভুক্ত ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। গত বছরের ১৩ আগস্ট এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে বিচারকার্য শুরু হয়। ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এ বদলির আদেশ দিয়েছিলেন।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন ঢাকায় সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

অভিযুক্ত বাকি ১০ জন হলেন এ কে এম শামীম, গাজী সালাহউদ্দিন, স্বপন কুমার রায়, মোহাম্মদ লুৎফুল হক, মোহাম্মদ শাহজাহান, নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, সাফিউদ্দিন আসকারী আহমেদ, রণজিৎ চন্দ্র সাহা, সান্ত্রী রায় ও মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতি।

দুদক জানায়, তারা ফার্মার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে দুই ব্যবসায়ী শাহজাহান ও নিরঞ্জনের ভুয়া নথি ব্যবহার করে চার কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে। পরবর্তীতে আত্মসাৎ করা টাকা বিচারপতি এস কে সিনহার অ্যাকাউন্টে জমা দেয়া হয়।


আরো সংবাদ



premium cement