আদালতে থার্মাল স্ক্যানারসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী রাখার নির্দেশনা চেয়ে রিট
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৩ জুন ২০২০, ১৮:৪৪, আপডেট: ০৩ জুন ২০২০, ১৮:৪২
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সব আদালত প্রাঙ্গণে থার্মাল স্ক্যানার স্থাপন, প্রতিটি আদালত কক্ষের সামনে থার্মোমিটার, পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার, সাবান ও হাত ধোয়ার উপকরণ সরবরাহসহ সারাদেশে আদালত পরিচালনায় স্বাস্থ্যবিধি প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
জনস্বার্থে ‘ল' অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন’র পক্ষে বুধবার ই-মেইলের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার এ রিট দায়ের করেন।
আইন সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সচিব, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) সেক্রেটারিকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, রিট আবেদনের ওপর হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসানের বেঞ্চে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুনানি হবে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনা হয়তো কখনোই পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে না। আগামী ১৫ জুন আদালত খুলে গেলে লাখ লাখ বিচারপ্রার্থী আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হবেন। ফলে, দেশের আদালত প্রাঙ্গণই হয়ে যেতে পারে করোনার নতুন হটস্পট।
ইতোমধ্যে অসংখ্য আইনজীবী ও আদালতের কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, অনেকে মারাও গেছেন উল্লেখ করে রিটে আরও বলা হয়, বিচারকরাও এতে আক্রান্ত হচ্ছেন। আদালত প্রাঙ্গণ থেকে করোনা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই আদালত খোলার আগেই দেশের সকল আদালত প্রাঙ্গণে থার্মাল স্ক্যানার স্থাপন, প্রতিটি আদালত কক্ষের সামনে থার্মোমিটার, পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার, সাবান ও হাত ধোয়ার উপকরণ সরবরাহসহ সারাদেশে কোর্ট পরিচালনায় স্বাস্থ্যবিধি প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ মে করোনাকালীন দেশের প্রতিটি আদালতের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে জীবাণুনাশক উপকরণের ব্যবস্থা রাখার জন্য প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে একটি আবেদন করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউসার। কিন্তু সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এ রিট দায়ের করা হয় বলে জানায় পল্লব। ইউএনবি