০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

এনামুল বাছিরের জামিন প্রশ্নে রুল খারিজ

-

ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মোঃ খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী।

আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, খন্দকার এনামুল বাছিরের জামিন হয়নি, রুল খারিজ করে বিচারিক আদালতকে এক বছরের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি তাকে কেন জামিন দেয়া হবে না এ মর্মে রুল জারি করেছিলেন।

গত বছরের ২২ জুলাই রাত পৌনে ১১টার দিকে দুদকের পরিচালক ফানাফিল্যার নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম মিরপুরের দারুস সালাম এলাকা থেকে এনামুলকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন ২৩ জুলাই জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সাথে তাকে ডিভিশন দেয়ার জন্য আবেদন করলে আদালত কারা কর্তৃপক্ষকে জেল কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন, কমিশনের তথ্য পাচার ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে এর আগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে সংস্থাটি।

গত ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা শেখ মোঃ ফানাফিল্লাহ মামলাটি দায়ের করেন।

সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে দায়মুক্তি দিতে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার জন্য ‘চুক্তি’ করেন বাছির। সাথে দাবি করেছেন একটি গ্যাসচালিত গাড়ি।

৪০ লাখ টাকার মধ্যে ২৫ লাখ টাকা গত ১৫ জানুয়ারি রমনা পার্কে বাজারের ব্যাগে করে নগদে নিয়েছেন দুদকের বরখাস্ত হওয়া এই পরিচালক। তিনি দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত-২ অনুবিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।

এদিকে, ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ পেয়েই মূলত নড়েচড়ে বসে দুদক। এ ঘটনা তদন্তে কমিশনের সচিব দিলওয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বাছির ১৯৯১ সালে অ্যান্টি করাপশন অফিসার (এসিও) হিসেবে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত হওয়ার পর তিনি সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালক ও পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান।

দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডিআইজি মিজান পুলিশের উচ্চপদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ পায় দুদক।

অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি কমিশনের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। পরে ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে বাদ দিয়ে এ ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব পান এনামুল বাছির।


আরো সংবাদ



premium cement
বনভূমিতে গারোদের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার : উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান জামায়াত একটি ইসলামী সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায় : নূরুল ইসলাম বুলবুল আসিফ নজরুলকে হেনস্তায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জামায়াতের মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করল হাউছিরা চীন যাচ্ছেন বিমান বাহিনী প্রধান ডেঙ্গুতে আরো ৫ মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৪৬৬ স্বৈরাচার ও তার সহকারীরা জাতীয় দুশমন : এ টি এম মাছুম নেদারল্যান্ডসে ইসরাইলি ফুটবল সমর্থকদের ওপর হামলা সেনাপ্রধানের সাথে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডারের সাক্ষাৎ সিলেটে বিজিবির হাতে কোটি টাকার চোরাই পণ্য আটক তরুণ-যুবকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে চাঁদাবাজমুক্ত দেশ গড়বে : ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

সকল