খালাস পেয়ে খুশিতে যা বললেন বড় মিজান
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৪:৪০
বহুল আলোচিত রাজধানীর গুলশানে হোলে আর্টিজান ক্যাফেতে জঙ্গি হামলা মামলার রায়ে সাত জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে উপস্থিত আটজনের মধ্যে সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলেও খালাস পান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান। মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানের অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেয়া হয়। পরে রায় শুনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মিজান।
রায়ের পর আদালতে উপস্থিত আইনজীবী ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা বলতে গিয়ে জানান, ‘আল্লাহ আমাকে খালাস করেছেন। আমি অনেকবার বিচারককে বলেছি- আমি সেই মিজান না। আমাকে বিনা দোষে এত দিন জেলে রাখছে।’
জানা গেছে, হলি আর্টিজান মামলায় অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান ছিলেন।
নামের মিল থাকার কারণেই খালাস পাওয়া এই মিজানকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজিব গান্ধি, মাহমুদুল হাসান মিজান, সোহেল মাহফুজ, রাশিদুল ইসলাম ওরফে রায়াশ, হাদিছুর রহমান সাগর, মামুনুর রশিদ রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ।
এর আগে, গত ১৭ নভেম্বর আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৭ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করে ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় পুলিশ আট অভিযুক্ত জঙ্গির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই অভিযোগপত্র জমা দেয়। একই বছরের ২৬ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল।
গত বছরের ৩ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী রিপন কুমার দাসের ট্রাইব্যুনালের সামনে জবানবন্দি দেয়ার মাধ্যমে এ চাঞ্চল্যকর মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়।
২০১৬ সালের ১ জুলাই ওই ক্যাফেতে সশস্ত্র জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২২ জনকে হত্যা করে। তাদের মধ্যে ইতালির নয়, জাপানের সাত, ভারতের এক, বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান এক, বাংলাদেশি দুজন নাগরিক এবং দুজন পুলিশ সদস্যও নিহত হন।
হামলার পেছনে ২১ জন জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়। যাদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৩ জন নিহত হন। ইউএনবি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা