ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা : বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১২ নভেম্বর ২০১৯, ১৩:৪০, আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৯, ১৩:৪৪
চলতি বছর ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা বা গাফিলতি আছে কিনা সেটি সনাক্ত করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো: ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নীচে নয় এমন একজনকে নিয়ে এ তদন্ত কমিটি গঠিত হবে। ওই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাঈনুল হাসান।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু বলেন, গত মে মাসে ডেঙ্গু বিষয়ে হাইকোর্ট একটা স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার মামলাটি এসেছিল। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কি কাজ করা হয়েছে সে বিষয়ে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন থেকে প্রতিবেদন মঙ্গলবার আদালতে দাখিল করেছি।
তিনি বলেন, সরকারি হিসেবে ১১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো অবহেলা ছিল। আদালত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যর্থতা বা গাফিলতি আছে কিনা সেটি তদন্ত করতে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজের নেতৃত্বে একটা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। ওই কমিটিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিবের নীচে নয় এমন একজন পদমর্যাদার কাউকে সংযুক্ত করবেন। এই কমিটি আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে একটি প্রতিবেদন দেবেন। তদন্ত কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীট-তত্ত্ব বিভাগ, আইসিডিডিআরবি, গণস্বাস্থ্য বিভাগ, প্লান প্রটেকশ উইং-এর সাহায্য সহযোগিতা নিতে পারবেন। এর বাইরেও যাদের যাদের সহযোগিতা দরকার তাদের সহযোগিতাও কমিটি নিতে পারবেন।
এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। সেখানে সরকারি হিসেবে ১১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে জানানো হয়। এর আগে গত ২৮ আগস্ট এক আদেশে আদালত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেয়া কাজের অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক শুরু হলে গত ৪ জুলাই এক স্বপ্রণোদিত আদেশে ঢাকা সিটিতে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ এডিস মশা নির্মূল ও ধ্বংসে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়ে দিয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর কয়েক দফায় এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং নির্দেশনা দেন আদালত। আদালতের আদেশে জরুরী ভিত্তিতে বিদেশ থেকে ওষুধ এনে ডেঙ্গু নিধনে কাজ করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।