লুৎফুজ্জামান বাবরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২০ এপ্রিল ২০১৯, ২০:২৩
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। শনিবার সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।
ওসমানী হাসপাতালে লুৎফুজ্জামান বাবর মেডিসিন বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক আবু নঈম মোহাম্মদের কাছে চিকিৎসা নেন। এখনও তার চিকিৎসা চলছে।
এ বিষয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. আব্দুল জলিল জানান, কয়েদি হিসেবে নিয়মিত চেকআপের জন্য লুৎফুজ্জামান বাবরকে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত লুৎফুজ্জামান বাবরকে গত বুধবার কিবরিয়া হত্যা মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ঢাকা থেকে সিলেট কারাগারে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু বাবর ওইদিনই অসুস্থ হওয়ায় স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি।
আরো পড়ুন : দেশে আইনের শাসন নেই বলেই খালেদা জিয়া জামিন পাচ্ছেন না : আলাল
ময়মনসিংহ অফিস
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, দেশে আইনের শাসন নেই বলেই সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে খালেদা জিয়া জামিন পাচ্ছেন না। আইন যদি থাকতো বা আইনের বাস্তবায়ন যদি থাকতো তাহলে তিনি অবশ্যই জামিন পেতেন অনেক আগেই এবং রাস্ট্রের পক্ষ থেকে বারবার তাঁর জামিনের বাঁধার সৃষ্টি করা হতো না।
শুক্রবার বিকেলে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তির ব্যাপারে তার সাংবিধানিক অধিকার ও আইনি অধিকারের ব্যাপারে ‘জামিনে মুক্তি পাবে’ এই সম্মানিত শব্দটির সাথেই থাকতে চাই। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে, অসুস্থ্যতা নিয়ে তাঁর জীবনহানির আশঙ্কা নিয়ে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারে কিন্তু আমরা রাজনীতি করতে পারবো না।’
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, আজকে দেশে ক্ষমতায় থাকার পরও আ’লীগের কোনো নেতাকর্মীর দাম নেই। কোথাও কোনো গুরুত্ব নেই। পুলিশের কাছে তারা অসহায়। ডিসি/এসপি বা প্রশাসন ও হাইব্রিড নেতাদের কাছে অসহায়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগেরও চিন্তা করা উচিত সংগঠন হিসেবে তাদের অস্তিত্ব আর কত দিন টিকে থাকবে। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী ও শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া যে আওয়ামী লীগ সেই আওয়ামী লীগ আজকে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন ও বিচার বিভাগের একাংশের দয়ার ওপর টিকে আছে।
তাদের ভিক্ষা করা ভোটের ওপর তারা টিকে আছে। এই আওয়ামী লীগের সাথে শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগের মেলালে নিজেদের সঙ্গে প্রবঞ্চনা করা হবে। বাংলাদেশে গনতন্ত্র নেই বলেই প্রধানমন্ত্রী বারবার বাকশালের কথা বলছেন। তাঁর বাবা বাকশাল করে সফল হননি। এখন তিনি বাকশালের ভালো দিকটা বলার চেষ্টা করছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
খালেদা জিয়ার প্যারোল প্রসঙ্গে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, একজন মন্ত্রী প্যারোল নামক একটি শব্দ প্রসব করলেন। আর অন্যমন্ত্রীরা ওই প্রসবকৃত প্যারোল শিশুকে লালন-পালন করে বড় করার চেষ্টা করছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে প্যারোল নামক সন্তানের জন্মও দেয়া হয়নি। লালন-পালনও করা হয় না। দেশে আইনের শাসন নেই বলেই ৬ বছরের শিশু থেকে ৬ সন্তানের জননী ধর্ষিত হচ্ছেন। আর এ সকল ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। কিন্তু তাদের বিচার করা হচ্ছে না।
সৈয়দ আলাল বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই আজকের এই জুরুরি বৈঠক। বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করুন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিই এখন বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য। আগামী দিনে কর্মসূচী ঘোষনা করবে অভিভাবক সংগঠন বিএনপি। রাজপথে তা বাস্তবায়নের জন্য থাকবে তারুণ্যে ভরপুর ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন।’
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক এ কে এম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। সভায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি নূরজাহান ইয়াসমীন, ইঞ্জিনিয়ার শামসুদ্দিন আহম্মেদ, ডা. মাহাবুবুর রহমান লিটন, ফখরুদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চু, জাকির হোসেন বাবলু, এ বি সিদ্দিকুর রহমান, আলমগীর মাহমুদ আলম, অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, কাজী রানা, শাহ শিব্বির আহম্মেদ বুলু, জয়নাল আবেদীন, জাকারিয়া হারুন, এ কে এম মাহবুবুল আলম মাহাবুব, এম এ হান্নান খান, আনোয়ারুল আজিজ টুটুল, লিটন আকন্দ, আজিজুল হক, আখতারুজ্জামান বাচ্চু, রতন আকন্দ, আখতারুল আলম ফারুক, ফারজানা রহমান হুসনা, হেলাল আহম্মেদ, শেখ আজিজ, শামীম আজাদ, উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূরুল হক, যুবদলের রুকনুজ্জামান সরকার, ভিপি শামছুল হক শামছু, মোজাম্মেল হক টুৃটু, দিদারুল ইসলাম রাজু, জোবায়েদ হোসেন শাকিল, বিপ্লব, শ্রমিকদলের মফিদুল ইসলাম মোহন, স্বেচ্ছাসেবকদলের শহীদুল আমীন খসরু, ভিপি ফরিদ, আলী আকবর আনিস, ফয়সাল, ছাত্রদলের মাহাবুবুর রহমান রানা, নাইমুল করিম লুইন, তানভীর আহমেদ রবিন, আবু দাঈদ রায়হান, রায়হান শরীফ হলুদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা