৩টার মধ্যে ক্ষতিপূরণের কিছু অংশ রাসেলকে পরিশোধ করুন : হাইকোর্ট
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১০ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:০৩, আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:০৭
বাসচাপায় পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে বেলা ৩টার মধ্যে ক্ষতিপূরণের কিছু অংশ গ্রিন লাইন পরিবহনের মালিককে পরিশোধ করতে বলেছেন আদালত। আদালত বলেছেন, ৩টার মধ্যে রাসেল সরকারকে ক্ষতিপূরণের ৫০ লাখ টাকার কিছু অংশ না দিলে আমাদের (আদালত) মতো আমরা ব্যবস্থা নিবো।
আজ বুধবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ গ্রিন লাইনের মালিক মো: আলাউদ্দিন ও তার আইনজীবীকে উদ্দেশ করে এ কথা বলেন।
শুনানির শুরুতে উম্মে কুলসুম স্মৃতি বলেন, আমাদের সাথে এখনো গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেনি।
এসময় গ্রিন লাইনের আইনজীবী মো: অজিউল্লাহ ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধের জন্য আবারো সময় চান।
তখন আদালত গ্রিন লাইনের মালিক ও আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকার পা হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন, আপনারা কোন খোঁজ নিলেন না। একটা টাকাও দিলেন না। রাসেলের একটা পা কেটে ফেলা হয়েছে। আরেকটি পা-ও যাওয়ার পথে। আপনাদের ব্যবসা তো ঠিকই চলছে। মানবিকতারও তো একটা ব্যাপার আছে।
এ সময় গ্রিন লাইনের আইনজীবী মো: অজিউল্লাহ আদালতকে বলেন, রাসেল সরকারের চাকরির ব্যবস্থা করবেন গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ।
তখন আদালত বলেন, আপনারা আগে বেলা ৩টার মধ্যে আদালত যে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দিয়েছে সেটার কিছু অংশ পরিশোধ করে আসেন। তাহলে আমরা বুঝবো আপনারা আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন। অন্যথায় আমাদের মতো করে আমরা ব্যবস্থা নিবো। এরপর আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য বেলা ৩টা সময় নির্ধারণ করেন।
গত ৪ এপ্রিল পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার শামসুল হক রেজা। গ্রিন লাইনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো: অজিউল্লাহ।
এর আগে গত ৩১ মার্চ গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসচাপায় পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে গ্রিন লাইন পরিবহনের করা আবেদন খারিজ করে রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
গত ১২ মার্চ রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে করেন গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ।