২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ শাবান ১৪৪৬
`

অবৈধ ইটভাটা অপসারণ করে ১৭ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

- ছবি - ইন্টারনেট

আইনের বিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করে সারাদেশের অবৈধ ইটভাটাগুলো অপসারণ করে আগামী ১৭ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট বিভাগ।

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ার প্রেক্ষাপটে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার; নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং সাভার ও ধামরাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আদালতে তলবে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যার পর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ রোববার এ আদেশ দেন।

একইসাথে যে সকল বিভাগীয় কমিশনাররা এখনো প্রতিবেদন দেননি তাদের আগামী ১৭ মার্চ আদালতে হাজির হয়ে অবৈধ ইটভাটা বন্ধের বিষয়ে পরিপূর্ণ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, আজকে যারা লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যহতি দিয়ে ১৭ মার্চ পরিপূর্ণ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

আজ শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, ‘দেশের পরিবেশকে আমাদের রক্ষা করতেই হবে। আমাদের স্বাভাবিক জীবন দিন দিন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এভাবে পরিবেশ দূষণ হলে আমরা কেউ বাচব না।’

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। ইট ভাটা মালিক সমিতির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফাহিমা নাসরিন মুন্নি। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।

অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে ২০২২ সালে পরিবেশবাদি ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।

জনস্বার্থে করা এই রিটে প্রাথমিক শুনানির পর হাইকোর্ট রুল জারির পাশাপাশি অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন।

কিন্তু বিভাগীয় কমিশনাররা কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় রিট আবেদনকারী পক্ষের সম্পূরক আবেদনে গত বছর ২৮ নভেম্বর আবার একই নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

দেশের আট বিভাগের কোথাও যাতে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম না চলে, সে বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশ দেয়া হয়। আদালতের এই আদেশ বাস্তবায়ন করে গত ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। এই আদেশের পর বিভাগীয় কমিশনাররা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বন্ধ করা অবৈধ ইটভাটার যে তালিকা প্রতিবেদনে দেয়া হয়েছে, তাতে আগে বন্ধ করা অবৈধ ইটভাটার নামও রয়েছে। আর নতুন করে যেগুলো বন্ধের কথা বলা হয়েছে, সেগুলোর কার্যক্রম চলছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ব্যাখ্যা জানতে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশনা চেয়ে এইচআরপিবির পক্ষ থেকে সম্পূরক আবেদন করা হয়। সে আবেদনের শুনানির পর গত ২৯ জানুয়ারি আদালত তিন বিভাগীয় কমিশনার, তিন জেলা প্রশাসক ও দুই ইউএনওকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী তারা আজ হাইকোর্টে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেন।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
চাঁদাবাজি বন্ধে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধে যান চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা সরকারের সকল দফতরে ই-ফাইলিং চালুর সিদ্ধান্ত ভোলায় ভুয়া এনএসআইকে ধরলো আসল এনএসআই ভোলায় এনএসআই পরিচয় দেয়া ১ প্রতারক আটক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় যুবলীগ নেতা আটক পাংশায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ‘গত ৬৫ ঘণ্টায় ৭২ ধর্ষণ’ খবরটি সঠিক নয় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসঙ্ঘকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান তৌহিদের খুলনা মহানগর বিএনপির নতুন সভাপতি মনা, সম্পাদক তুহিন ‘চলতি বছর থেকে শুরু হচ্ছে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ফেলোশিপ’ নাটোরে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

সকল