সাবেক গভর্নর আতিউর ও অর্থনীতিবিদ বারাকাতের নামে মামলা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:২৮

অ্যাননটেক্স গ্রুপকে ঋণের নামে দেয়া ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান এবং জনতা ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাতসহ ২৩ জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটি উপ-পরিচালক মো: নাজমুল হুসাইন মামলাটি দায়ের করেছেন।
দুদক মহাপরিচালক মো: আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে অ্যাননটেক্স গ্রুপের ২২টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় তিন হাজার ৫২৮ কোটি টাকা ঋণ দেয় জনতা ব্যাংক। ২০১২ সালে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ২০২২ সালে ঋণ অনিয়ম অনুসন্ধান করে দুদক প্রমাণ না পাওয়ায় অভিযোগের পরিসমাপ্তি হয়েছিল বলে জানা গেছে।
অন্য আসামিরা হলেন সাবেক ডেপুটি গভর্নর-২ আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, সাবেক সহকারী পরিচালক মোছাম্মৎ ইসমত আরা বেগম, সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো: ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দীপু, ড. আর এম দেবনাথ, মো: আবু নাসের, মিসেস সঙ্গীতা আহমেদ, অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র নাথ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আব্দুছ ছালাম আজাদ, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক আজমুল হক, সাবেক এজিএম অজয় কুমার ঘোষ, জনতা ভবন কর্পোরেট শাখার সাবেক ম্যানেজার (শিল্প ঋণ-১) মো: গোলাম আজম, ব্যাংকের নির্বাহী প্রকৌশলী (এসএমই ডিপার্টমেন্ট) মো: শাহজাহান, এসইও মো: এমদাদুল হক, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক মো: আব্দুল জব্বার, সাবেক ডিএমডি মো: গোলাম ফারুক ও সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক এবং অ্যাননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো: ইউনুছ বাদল, মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আনোয়ার হোসেন ও পরিচালক মো: আবু তালহা।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা রেকর্ড তৈরি করে জনতা পিএলসির ভবন শাখা (করপোরেট শাখা) থেকে ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ঋণের অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি ও মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।