২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ শাবান ১৪৪৬
`

স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক এমপি রনজিত কুমারের নামে দুদকের মামলা

- ছবি : সংগৃহীত

যশোর-৪ আসনের সাবেক এমপি রনজিত কুমার রায়, তার স্ত্রী নিয়তি রানী রায়, ছেলে রাজীব কুমার রায় ও সঞ্জীব রায়ের নামে পৃথক চারটি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো: আক্তার হোসেন রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

আক্তার হোসেন বলেন, ‘রনজিত কুমার রায় ক্ষমতার অপব্যবহার করার মাধ্যমে অবৈধভাবে ছয় কোটি ১২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে এবং তার নামে ২৫টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মোট ৩৯ কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫৬৪ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে ওই টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) (৩) ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় একটি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

এদিকে, নিয়তি বানী রায় তার স্বামী রনজিত কুমার রায় পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে এক কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ তার নামে ২১টি ব্যাংক হিসাবে মোট আট কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার ১০৬ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে ওই টাকা জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় নিয়তি রানী রায় ও তার স্বামী রনজিত কুমার রায়ের নামে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

এছাড়া রনজিত কুমার রায়ের ছেলে রাজীব কুমার রায় বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে তিন কোটি ৬০ লাখ এক হাজার ৬৮১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ রাজীব কুমার রায়ের নিজ নামে তার স্ত্রী রিশিতা সাহার নামে ৬৯টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১৬২ কোটি ৩৪ লাখ ৪৮ হাজার ৮৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে ওই টাকা জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় রাজিব কুমার রায় ও রনজিত কুমার রায়ের নামে আরো একটি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রনজিত কুমার রায়ের অপর ছেলে সজীব রায় তার বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে তিন কোটি ৭৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৫০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ সজীব রায় নিজ নামে ও তার স্ত্রী অনিন্দিতা মালাকার পিউ’র নামে ১৮টি ব্যাংক হিসাবে মোট আট কোটি ৪৯ লাখ ২২ হাজার ২০৯ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে ওই টাকা জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় সজীব রায় ও রনজিত কুমার রায়ের নামে আরেকটি মামলা রুজুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement