আসামি নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৫৭
গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্র আয়াজ হককে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলার আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইনজামামুন ইসলাম ওরফে জিসানকে হেফাজতে নিয়ে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ কর্মকর্তা সহিদুল বিশ্বাসকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি তাকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার। গত ২ ফেব্রুয়ারি ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট। সেই অনুযায়ী রোববার তিনি হাজির হন।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তা নির্যাতনের বিষয় অস্বীকার করেছেন। আদালত তাকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন। আজকে তাকে ডাকা হয়েছিল। তিনি আদালতে হাজির হয়ে মৌখিকভাবে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। আগামী রোববার তাকে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’
তিনি বলেন, ‘মামলার তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দিতে তিনি স্বীকার করেছেন তাকে তখনকার দিনে বার্ন ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দিতে হয়েছিল। সেখানে সাজেশন আছে তার ডান পায়ের নিচে দিয়ে ইনজেকশন পুশ করা হয়েছিল। এই কারণেই এই আইও-কে ডাকা হয়েছিল। তিনি মৌখিকভাবে বলেছেন, অস্বীকার করেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘জিসানকে দু’বার রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ তার স্বীকারোক্তি আদায় করে। নির্যাতনের পর জিসানের পায়ে পচন ধরে যায়। এখনো পর্যন্ত তার ওই পা অনুভূতিহীন। এরপর আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তা সাহিদুল বিশ্বাসকে তলব করে ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন।’
২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর কলেজ ফুটবল প্রীতি টুর্নামেন্টের বিরোধের জের ধরে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্র আয়াজ হককে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যার দায়ে একজনকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। আসামিরা সবাই সিটি কলেজের ছাত্র। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আসামি ইনজামামুন ইসলাম ওরফে জিসানকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন তৌহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান আরাফ, তৌহিদুল ইসলাম শুভ, আবু সালেহ মো: নাসিম ও আরিফ হোসেন রিগ্যান। রায় ঘোষণার সময় কারাগারে থাকা ইনজামামুন ইসলাম ও তৌহিদুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়। অন্যরা পলাতক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আয়াজ হত্যার ঘটনায় তার বাবা আইনজীবী শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৯ জুন ধানমন্ডি থানায় সিটি কলেজের বাণিজ্য বিভাগের ছয় ছাত্র ইনজামামুন ইসলাম ওরফে জিসান, তৌহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান আরাফ, তৌহিদুল ইসলাম শুভ, আবু সালেহ মো: নাসিম ও আরিফ হোসেন রিগ্যানের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর ২০১৫ সালের ১৩ মে ধানমন্ডি থানার এসআই সহিদুল বিশ্বাস ৪৭ জনকে সাক্ষী করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। বিচার চলাকালে আদালত ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা