০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪২৩১, ৬ শাবান ১৪৪৬
`

সাবেক এমপি ফজলে করিমকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ

সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী - ছবি : সংগৃহীত

আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম-৬ রাউজান আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এই আদেশ দেন মো: গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম ও আব্দুল্লাহ আল নোমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার, তারেক আব্দুল্লাহ ও তানভীর হাসান জোহা।

ফজলে করিম চৌধুরী ইতোমধ্যে অন্য মামলায় গ্রেফতার আছেন। তাকে গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়া আজ আরো একজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। তবে আসামি পালিয়ে যেতে পারেন, সেই কারণে তার নাম-পরিচয় জানানো হয়নি।

এ বিষয়ে প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও অন্যান্য এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন ও অন্যান্য- এই দুটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তদন্তের সময় যেকোনো স্থান তল্লাশি ও যেকোনো বস্তু জব্দ করতে পারবেন, এমন পৃথক দুটি আবেদন করা হয়েছিল। সেটিও ট্রাইব্যুনাল মঞ্জুর করেছেন। আরেকটি আবেদন করা হয়েছিল, তা হলো তদন্তের সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা কোনো বস্তু জব্দ করলে সেটির জেনুইনিটি (সত্যতা) পরীক্ষা করাতে পারেন। সেই আবেদনও ট্রাইব্যুনাল মঞ্জুর করেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে গাজী মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের ১৯৭৩ সালের আইন ২০০৯ সালে সংশোধন করা হয়েছিল। সেই সংশোধনে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল, তিনি যেকোনো জায়গায় যেকোনো কিছু তদন্ত করতে পারবেন। কিন্তু ২০২৪ সালের সংশোধনীতে তল্লাশি ও জব্দের ব্যাপারে আদালতের অনুমতি নেয়ার একটি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। যার কারণে প্রতিটি মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আলাদাভাবে অনুমতি নেয়া লাগছে।’


আরো সংবাদ



premium cement