মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ বিএনপি নেতার আপিলের রায় ৫ ফেব্রুয়ারি
- ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নয়জন বিএনপি নেতার আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামি ৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী জামিল আক্তার এলাহী, কামরুজ্জামান মামুন ও মাকসুদ উল্লাহ।
এ বিষয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, এই মামলায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ওপর হামলা অভিযোগ ছিল। যদিও হামলার যে সময় দেয়া হয়, সে সময় তিনি ঈশ্বরদী ছিলেন না। ২০১৯ সালে তড়িঘড়ি করে দুই আড়াই দিনের শুনানি করে এই মামলার রায় দেয়া হয়। সেই রায়ে নয়জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত সবাই পাবনা ও ঈশ্বরদীর বিএনপি নেতাকর্মী।
তিনি আরো বলেন, ওই এলাকায় বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপির যারা দায়িত্বশীল নেতা তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে এ মামলায় দণ্ড প্রদান করা হয়।
তিনি বলেন, আমরা শুনানিতে বলেছি একটা পলিটিক্যাল স্কিম বাস্তবায়নের জন্য মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। বিচারের প্রসিকিউশন ছিল বিদ্বেষপূর্ণ। এই মামলার রায় ঘোষণায় একটা অসৎ উদ্দেশ্য ছিল। আমরা আদালতে বলেছি, কাউকে খুশি করার জন্য এই রায় ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য এবং বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য এই রায় ঘোষণা করা হয়েছিল।
আইনজীবীরা জানান, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাওয়ার পথে ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনের বগি লক্ষ্য করে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ঈশ্বরদীর জিআরপি থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
পরে দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৯ সালের ৩ জুলাই এ মামলায় বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি খালাস চেয়ে আপিল করেন আসামিরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা