২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১, ২৮ রজব ১৪৪৬
`

ন্যায় বিচারের স্বার্থে ভারত হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে, আশা ক্যাডম্যানের

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যান। - ছবি : সংগৃহীত।

বাংলাদেশের দেয়া প্রত্যর্পণের চিঠির ইতিবাচক জবাব দিয়ে সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে ন্যায়ের পক্ষ নিয়ে ভারত শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যান।

আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে শুনানি শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে দেয়া চিঠির উত্তরে ভারতের মৌনতার বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে টবি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যথাযথভাবে ভারতকে প্রত্যর্পণের জন্য আহবান জানিয়েছে। তবে এটা ভারতের ব্যাপার যে তারা ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়াবে, নাকি তাকে (হাসিনা) বিচার থেকে রেহাই দেওয়ার পক্ষে অবস্থান করবে। আমি আশা করি ভবিষ্যতে তারা ন্যায়বিচারের পক্ষেই অবস্থান নিবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘চিঠির জবাবে ভারতকে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ সরকার জোর করতে পারেন না ঠিকই, কিন্ত আমরা আশা করতেই পারি যে তাকে এ দেশে আনা হবে এবং বিচারের মুখোমুখি করা হবে।এখানে বলে রাখা ভালো যে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের সকল সুযোগ পাবেন।’

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এখানে একজন পেশাদার হিসেবে কাজ করতে এসেছি এবং তাই করবো। অতীতের কোনো ঘটনা, কারো কার্যকলাপ কিংবা পূর্বে আমার কাজের পরিধি কি ছিল তা একে প্রভাবিত করবে না। সকলের জেনে রাখা ভালো, যেহেতু এই মামলাগুলো জটিল এবং এর কার্যবিধি সময় সাপেক্ষ সুতরাং এ বিধিগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে তাড়াহুড়া করার কোনো সুযোগ নেই।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ টবি আরো বলেন, ‘তবে চিফ প্রসিকিউটর যেভাবে সবকিছু গুছিয়ে এনেছেন এবং নিশ্চিত করেছেন যেন আইন আমাদের সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করে, সেটা দেখার পর আমি আত্নবিশ্বাসী যে কাজগুলো সঠিকভাবে করা সম্ভব হবে। সামনে ট্রাইব্যুনালে যতদিন কাজ করবো ততদিন আইনের বিদ্যমান কাঠামোতে বিষয়ে আলোচনা চলতে থাকবে। এ বিষয়ে এবং বিদ্যমান আইনি ফ্রেমওয়ার্ক এ প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে আইন অঙ্গনের অন্যান্য ব্যক্তিদের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করবো। আশা করি তা করা গেলে আইনি বিষয়গুলো আরো নিরপেক্ষ, সহজতর ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে স্বীকৃত হবার যোগ্য হবে।’

উল্লেখ্য, ব্রিটিশ আইনজীবী, লন্ডনভিত্তিক ল’ ফার্ম ‘গুয়ের্নিকা ৩৭’ গ্রুপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ‘গুয়ের্নিকা-৩৭ চের্ম্বাস’-এর যুগ্ম প্রধান টবি ক্যাডম্যানকে গত ২০ নভেম্বর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয় ।

এর পরপরই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এতে, টবি’র নিয়োগ ট্রাইব্যুনালের জন্য এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক বলে মন্তব্য করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।


আরো সংবাদ



premium cement