ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দাখিল করল শহীদ মুগ্ধর পরিবার
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৩৮
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর পরিবারের দুই সদস্য।
অভিযোগ দায়েরের পর ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে মুগ্ধর বড় ভাই মীর মাহমুদুর রহমান দীপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চিফ প্রসিকিউটরের সাথে দেখা করেছি। নির্দিষ্ট কারো নাম না উল্লেখ করে শুধুমাত্র অভিযোগ দায়ের করেছি। ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণাদিসহ যে বা যারা প্রকৃত অপরাধী এবং যারা তাদের এই অপরাধ করতে সাহায্য করেছে, তাদের মামলায় অপরাধী হিসেবে নিয়ে আসবেন। আমরা আশাবাদী যে সরকার এবং ট্রাইব্যুনাল আমাদের ন্যায় বিচারের আশা পূরণে সক্ষম হবেন।
তিনি বলেন, বিচার প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সাক্ষ্য-প্রমাণ। এটি মূলত প্রশাসনের দায়িত্ব হলেও আমরা নিজেরাই বেশ কিছু প্রমাণাদি সংগ্রহ করেছি। কারণ বিচার ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হোক বা ন্যায়বিচার প্রক্রিয়াতে সময় লাগুক তা চাইনি। আমরা চাই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা দ্রুততার সাথে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করবেন, এখানে প্রমাণ সংগ্রহ করে আমরা তাদের কাজ অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, ১৮ জুলাই মুগ্ধ গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরপরই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তারা বার বার লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য বলতে থাকেন কারণ পুলিশ এসে লাশ সরিয়ে ফেলার একটি সম্ভাবনা ছিল। লাশ দাফন করার জন্য থানায় অনাপত্তিপত্র নিতে গেলে তারা অনুমতি নেই বলে জানায়।
মুগ্ধর জমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ গণমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, আমরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে যে তথ্য প্রমাণাদি সংগ্রহ করেছি, তার ভিত্তিতে বলতে পারি যে পুলিশের চালানো গুলিতেই সেদিন মুগ্ধর জীবন চলে গিয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে এখন সত্যতা প্রমাণ করা কঠিন কোনো বিষয় নয়।
গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে উত্তরার আজমপুরে শিক্ষার্থী ও পুলিশের সংঘর্ষের সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনলাসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী ছিলেন।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা