স্ত্রী-সন্তানসহ শামীম ওসমান ও নানকের নামে দুদকের মামলা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৪৮
মানিলন্ডারিং ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি শামীম ওসমান ও সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের পরিবারের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এক ব্রিফিংয়ে দুদক-এর মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো: আক্তার হোসেন জানান, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। দু’টি মামলারই করেছেন সংস্থার উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ।
মামলার এজাহারে শামীম ওসমানের স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে দু’ কোটি ৫১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫৮ মার্কিন ডলার বা ১৯৩ কোটি ৯১ লাখ ১৮ হাজার ৬০৩ টাকা পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় শামীম ওসমানের সাথে তার স্ত্রী ও কে টেলিকমিউনিকেশন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান সালমা ওসমান ও প্রতিষ্ঠানের এমডি তানভীর আহমেদকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ২(ক) (২) ধারা লঙ্ঘন করে বিটিআরসির আইজিডব্লিউ লাইসেন্সধারী অপারেটর হিসেবে ৯১ কোটি ৫০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৫ টাকা আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল মিনিটের মূল্য বাবদ অর্জিত ১৯৩ কোটি ৯১ লাখ ১৮ হাজার ৬০৩ টাকা মূল্যের দু’ কোটি ৫১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫৮ মার্কিন ডলার (বৈদেশিক মুদ্রা) পাচার করে কিংবা আনয়নযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে না এনে মানিলন্ডারিংয়ের মতো অপরাধ করেন।
অপর মামলায় জাহাঙ্গীর কবির নানক, তার স্ত্রী ও রাতুল টেলিকমের চেয়ারম্যান সৈয়দা আরজুমান বানু, তার মেয়ে ও ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এস আমরীন রাখিকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ২(ক) (২) ধারা লঙ্ঘন করে ২৫৯ কোটি ৬২ লাখ পাঁচ হাজার ১৫৮ টাকা বা তিন কোটি ৩২ লাখ ৮৪ হাজার ৬৮১ মার্কিন ডলার পাচার করে কিংবা দেশের স্বার্থে আনয়নযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে না এনে অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২)ও ৪(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা