১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

মডেল তিন্নি হত্যা : খালাস পেলেন জাপার সাবেক এমপি অভি

মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি - ছবি - ইন্টারনেট

রাজধানীতে খুন হওয়া মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত একমাত্র আসামি জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোছা. শাহীনুর আক্তার এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আদালত বলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় আসামিকে খালাস দেয়া হলো হলো।

এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মো: আবু জাফর রিজভী বলেছেন, পূর্ণাঙ্গ রায় দেখে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

রায়ে খালাসপ্রাপ্ত অভি মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। তার পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী শাহ ইলিয়াস রতন সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য ছিল। ওই দিন তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুবুল করিম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম আদালতে সাক্ষ্য দিতে হাজির হন। আদালত মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্যের জন্য ধার্য করেন।

২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে মডেল তিন্নির লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পরদিন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো: সফি উদ্দিন।

এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: কাইয়ুম আলী সরদার। এরপর তিন্নির লাশের ছবি পত্রিকায় ছাপা হলে সুজন নামে এক আত্মীয় লাশটি শনাক্ত করেন।

২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর মামলার তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পান তৎকালীন সিআইডির পরিদর্শক ফজলুর রহমান।

এর পর বিভিন্ন সময়ে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ এবং এএসপি মোজাম্মেল হক। সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।


আরো সংবাদ



premium cement