ট্রাইব্যুনালে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পরীক্ষিত ও স্বীকৃত বিচার হবে : অ্যাটর্নি জেনারেল
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০৫
ট্রাইব্যুনালে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পরীক্ষিত ও স্বীকৃত বিচার হবে মন্তব্য করে অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যেকোনো ধরনের বিতর্কের অবসান ঘটাতে সকলের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে ও মতামত নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন সংশোধনও করা হয়েছে।’
এ সময় একটি নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামূলক ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ট্রাইব্যুনালকে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস সর্বপ্রকার সহায়তা করবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সংস্কার কাজ শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন ও এজলাস কক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে জুলাই-আগস্ট গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওপর রাষ্ট্রীয় কোনো প্রভাব নেই।
তিনি বলেন, ‘অবকাঠামোগত পরিবর্তন ও পুনঃর্নির্মাণ করা হলো সেটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাজেরই একটি অংশ। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে এতো মানুষ শহীদ হয়েছেন, যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের উপাদান আছে। আইনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী যেসকল অপরাধ সেসময় সংঘটিত হয়েছে তার বিচার এখানে করা হবে।’
এ সময় পুরাতন হাইকোর্ট ভবনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূলভবন ও এজলাস কক্ষের উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: গোলাম মর্তুজা মজুমদার, ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর এ বি এম সুলতান মাহমুদ, গাজী এম এইচ তামিম, তারেক আব্দুল্লাহ, শাঈখ মাহাদীসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে জুলাই-আগস্টে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে। এ অপরাধের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা