০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১, ৪ রজব ১৪৪৬
`

হাইকোর্টে শুরু হচ্ছে ‘কাগজমুক্ত’ বিচার কার্যক্রম

হাইকোর্টে শুরু হচ্ছে ‘কাগজমুক্ত’ বিচার কার্যক্রম - ছবি : সংগৃহীত

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের কোম্পানি-সংক্রান্ত একটি বেঞ্চে সম্পূর্ণ কাগজমুক্ত (পেপার ফ্রি) বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হতে যাচ্ছে।

২ জানুয়ারি হতে হাইকোর্ট বিভাগের কোম্পানী সংক্রান্ত একটি বেঞ্চে সম্পূর্ণ কাগজমুক্ত বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মরহুম এ এফ হাসান আরিফের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গতকাল ২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তা শুরু করা সম্ভব হয়নি। আগামী ৫ জানুয়ারি রোববার পেপার ফ্রি বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করা হবে।

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন বলেন, সকল কাগজাদি অনলাইনে জমা প্রদানের অনলাইন প্লাটফর্ম প্রস্তুত করে পেপার ফ্রি বিচারিক কার্যক্রম শুরু একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিচার বিভাগকে যুগোপযোগী, জনগণের হয়রানি লাঘবসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং বিচার বিভাগকে প্রভাবমুক্ত করতে রোডম্যাপ ঘোষণা একটি নজিরবিহীন উদ্যোগ। এই রোডম্যাপের আলোকে ইতোমধ্যে বিভিন্ন অগ্রগতি আইনজীবী সমাজসহ জনগণের মাঝে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব তত্ত্বাবধায়ন ও উদ্ভাবনে উক্ত বেঞ্চের সকল কাগজাদি অনলাইনে জমা প্রদানের অনলাইন প্লাটফর্ম ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। ২০২৫ সালে পর্যায়ক্রমে সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বেঞ্চসমূহেও পেপার ফ্রি কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা প্রধান বিচারপতির রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে দেশের জেলা আদালতসমূহেও সম্পূর্ণ পেপার ফ্রি বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আশা প্রকাশ করেন।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত ১১ আগস্ট শপথ গ্রহণ করেন। প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর স্বচ্ছতা ও প্রাতিষ্ঠানিক উৎকর্ষতা আনয়নের মাধ্যমে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনার প্রয়াস হিসেবে তিনি বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন।

বিগত ২১ সেপ্টেম্বর ঘোষিত ওই রোডম্যাপে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের অর্থপূর্ণ সংস্কার নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ঘোষিত হয়। পরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে স্বাধীন কাউন্সিল গঠন, অধস্তন আদালতের বিচারকগণের বদলি ও পদায়ন নীতিমালা প্রণয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ ঘোষিত রোডম্যাপের আলোকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী অন্যান্য পরিকল্পনাসমূহও বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। বিশেষ করে, ই-জুডিশিয়ারি বাস্তবায়নে প্রধান বিচারপতি বদ্ধপরিকর। দেশের উচ্চ আদালত ও জেলা আদালতসমূহের বিচার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে ই-জুডিশিয়ারির আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement
প্রেমিকের টানে গুরুদাসপুরে মালয়েশিয়ান তরুণী এক মিনিটেই ৫৭ চলন্ত পাখা জিভ দিয়ে থামিয়ে গিনেস রেকর্ড ‘তারেক রহমানের দেশে ফেরার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারিনি’ তামাবিল মহাসড়কের পাশ থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার খুলে দেয়া হয়েছে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবন মালয়েশিয়ায় ইন্দোনেশিয়ান নারীকে হত্যা : বাংলাদেশী গ্রেফ্তার সৌদি আরবে ১৯ হাজারেরও বেশি অভিবাসী গ্রেফতার ইয়েমেনের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত ইসরাইলের যুক্তরাষ্ট্রে তুষারঝড়ের আশঙ্কায় বিভিন্ন রাজ্যে জরুরি অবস্থার ঘোষণা টেকনাফে সোয়া ৩ লাখ ইয়াবা জব্দ, মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২ বিয়ের ১৬ দিনেই লাশ হলেন স্ত্রী, ঘাতক স্বামী আটক

সকল