কনস্টেবল সুজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুলে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পুলিশের কনস্টেবল সুজন হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।

প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ। অন্যদিকে কনস্টেবল সুজন হোসেনের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না।

প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘শাহবাগ থানার মামলায় গ্রেফতার হওয়া আসামি পুলিশ কনস্টেবল মোহাম্মদ সুজন হোসেনকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টমূলে আইসিটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আজ আমরা আবেদন করেছিলাম। ট্রাইব্যুনাল আবেদন শুনানি শেষে তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছেন। একইসাথে আগামী ১২ জানুয়ারি তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগামী ২৩ জানুয়ারি এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করা হয়েছে।’

৫ আগস্ট বেলা ১১টায় রাজধানীর চানখারপুলে বোরহানউদ্দিন কলেজের পাশে সুজন হোসেনকে কখনো দাঁড়িয়ে বা কখনো শুয়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করতে দেখা যায়, যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনের পতন হয়।

গত জুলাই-আগস্টে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে। এ অপরাধের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে।
সূত্র : বাসস