২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের স্বীকৃতি ও আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত শ্রম কমিশনের অগ্রাধিকার

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শ্রম ভবনে শ্রম সংস্কার কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় - ছবি : ইউএনবি

অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের ৮৫ শতাংশের বেশি এখনো আইনি সুরক্ষার আওতায় আনা হয়নি উল্লেখ করে শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কমিশন তাদের সুপারিশে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের আইনি সুরক্ষা ও স্বীকৃতির বিষয়টি তুলে ধরবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শ্রম ভবনে আয়োজিত শ্রম সংস্কার কমিশনের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, শ্রমবাজারে নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। আইটি, পরিবহন, খাদ্য সরবরাহের মতো খাতে বিপুলসংখ্যক মানুষ কোনো ধরনের আইনি সুরক্ষা ছাড়াই কাজ করছে। প্রতি বছর ২০ লাখের বেশি শ্রমিক শ্রমবাজারে যোগ দিচ্ছে। এর ফলে কর্মক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা চরম আকার ধারণ করেছে।

তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিকে পুঁজি করে চলছে ব্যাপক শ্রমিক শোষণ ও নির্যাতন। দেশে বিদ্যমান শ্রম আইন মোট শ্রমিকের একটি সামান্য অংশের জন্য প্রযোজ্য হচ্ছে।

অবশিষ্ট শ্রমিকদের জন্য তেমন কোনো সুরক্ষা কাঠামো নেই উল্লেখ করে সৈয়দ সুলতান উদ্দিন বলেন, দেশে উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগের অভাবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শ্রমিক বিদেশ চলে যাচ্ছেন। সেখানে কম মজুরিতে হলেও বিপজ্জনক ও অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

প্রতিদিন বাংলাদেশী শ্রমিকদের লাশ বিদেশ থেকে দেশে আনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) এই নির্বাহী পরিচালক বলেন, শিল্পক্ষেত্রে সুষ্ঠু সম্পর্ক গড়ে তুলতে দায়িত্বশীল ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রমের বিকল্প নেই। এটি হলে শ্রমিক ও মালিকপক্ষ যৌথভাবে যথাযথ উৎপাদনশীল ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।

কমিশন প্রধান বলেন, ‘সব ক্ষেত্রে না হলেও দেশে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই দু’পক্ষ পরস্পরকে প্রতিপক্ষ ভাবার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। পুরো জাতি যদি এর থেকে বেরিয়ে আসতে না পারে, তাহলে এর মূল্য চোকাতে হবে।’

‘শিল্প খাতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে। শিল্প শ্রমিকদের ‘শ্রমিক’ হিসেবে আইনি স্বীকৃতি থাকলেও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের অধিকাংশ শ্রমিকের তা নেই।

তিনি আরো বলেন, ‘দেশে-বিদেশের কর্মরত শ্রমজীবীরা দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলেও তারা এখনো রাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রত্যাশিত মর্যাদা পায়নি। ফলে সামাজিকভাবে অসম্মানজনক অবস্থায় তাদের বসবাস করতে হয়।’

‘সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, শ্রমিকদের ছোট করে দেখা আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গিয়েছে। গৃহকর্মীরা প্রতিটি ঘরে নির্যাতনের শিকার হন। প্রতিনিয়ত নির্মাণ শ্রমিকদের মৃত্যু হচ্ছে। এছাড়া জাহাজডুবি বা পরিবহন খাতে অব্যাহত দুর্ঘটনা শ্রমিকদের প্রতি সমাজ ও নীতিনির্ধারকদের হেয় মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ।’

এ সময় দেশের প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের সব শ্রমিক এবং সব অভিবাসী শ্রমিকের অধিকার ও কল্যাণ রক্ষায় ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দেন শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান, যাতে ভবিষ্যতে শ্রমিকরা সমাজের ‘সম্পদ’ হিসেবে বিবেচিত হন এবং পরিবার নিয়ে মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারেন।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
গাজীপুরে কোরআন অবমাননার অভিযোগে কলেজছাত্র গ্রেফতার অযাচিত অস্থিরতা নয়, দায়িত্বশীল হোন সুখী : দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন বেসরকারি স্কুল-কলেজে সাত পদে এনটিএসসির অধীনে নিয়োগ এই মুহূর্তে হঠকারিতা দিকে যাওয়া জাতির জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে : মির্জা ফখরুল পাইকগাছার নাশকতা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার সেনা অভ্যুত্থান, সেনা শাসন ও আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদের দোসরদের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : গোলাম পরওয়ার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও এডুকেশন মালয়েশিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্মারক হিন্দু পল্লীতে আগুন : মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন নাইক্ষ্যংছড়িতে আ’লীগের দুই নেতা কারাগারে

সকল