২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় হাউমাউ করে কাঁদলেন সাবেক ওসি

গুলশান থানার সাবেক ওসি মো: মাজহারুল হক - ছবি : সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের বিচারিক প্রক্রিয়া চলাকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করেছেন গুলশান থানার সাবেক ওসি মো: মাজহারুল হক।

বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বিচারকার্য চলাকালীন চিফ প্রসিকিউটরের ভুলবশত গুলশানের সাবেক ওসিকে সাভারের ওসি বলে সম্বোধন করে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরার সময় তিনি দাঁড়িয়ে বিচারকের উদ্দেশে বলেন, আমি কখনই সাভারের ওসি ছিলাম না, আমি গুলশানের ওসি। এ সময় তিনি কেঁদে ফেলেন। কান্নাকাটি করা অবস্থায় গুলশান থানার সাবেক ওসি মো: মাজহারুল হক বলেন, আমি আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম। আমার ছেলেও আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। আমি কখনই সাভারের ওসি ছিলাম না। আমি গুলশানের ওসি।

এ সময় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: গোলাম মর্তূজা মজুমদার বলেন, আপনি নির্দোষ হলে আপনার কিছু হবে না।

চিফ প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালে বলেন, লিখিত কাগজটি পড়ার সময় আমি ভুলবশত তাকে সাভারের ওসি বলেছি। তিনি গুলশানের ওসি। এরপর গুলশান থানার সাবেক ওসি মো: মাজহারুল হকের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের সামনে পাঠ করেন।

গুলশান থানার সাবেক ওসি মো: মাজহারুল হকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পর্কে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় অভিযুক্ত গুলশানের ওসি মাজহারুল হক ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাথে মিলে ছাত্র-জনতার উপর পাশবিক নির্যাতন চালান। তার নির্দেশে ১৯ জুলাই পুলিশ বাদুর হোসেন নামের একজনের উপর গুলি চালায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়। একই দিন শাহাজাদপুরে আরো কয়েকজন ছাত্র-জনতার উপর ওসি মাজহারের নির্দেশে গুলি চালানো হয়।

পুলিশের সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং এনটিএমসি'র সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ মোট আটজন সাবেক কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে আগামী ১৯ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়াসহ আসামিদের হাজির করার নির্দেশও দেয়া হয়।

ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ এ আদেশ দেয়। অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো: শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মো: মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

যাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয় তারা হলেন- সাবেক পুলিশ প্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, যাত্রাবাড়ী থানা সাবেক ওসি আবুল হাসান, এনটিএমসি'র সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলা সাবেক পুলিশ সুপার মো: আব্দুল্লাহ আল কাফি, মিরপুরের সাবেক ডিসি মো: জসিম উদ্দিন মোল্লা, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো: শাহিদুল ইসলাম, গুলশান থানার সাবেক ওসি মো: মাজহারুল হক, ঢাকা উত্তর ডিবি পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মো: আরাফাত হোসেন।
সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
সম্পর্ক জোরদারে ব্রাসিলিয়ায় শি জিনপিং-লুলা বৈঠক ‘সন্ত্রাস মুক্ত সমাজ গড়তে কোরআনের ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে’ আ’লীগ শাসনামলে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ছিল না : যুবদল সম্পাদক সরানো হলো আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে সংশোধিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশ অনুমোদন মণিরামপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু ‘প্রশাসন জনগণের সেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে’ ডেঙ্গুতে আরো ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪ ব্যাংকিং ব্যবস্থার অপব্যবহারে সঙ্কটাপন্ন ব্যাংকগুলোর ক্ষতি ১৬৬৩.৩৮ কোটি টাকা সুদানের গ্রামে আধাসামরিক বাহিনীর গুলিতে নিহত ৪০ ট্রেনের টিটিই কর্তৃক ববি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হয়রানি, বিচারের দাবি

সকল