খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনের মামলা বাতিল
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:২২
বিএনপি চেয়ারপারন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনের মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ রিফাত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এ সময় বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির বিরুদ্ধে ছয় মামলাও বাতিল করা হয়।
আদালতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী। সাথে ছিলেন আইনজীবী আজমল হোসেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে ২০১৬ সালে চট্টগ্রামে তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে এ মামলা হয়। খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীকে আসামি করে মামলাটি করেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদের। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর (সংশোধিত ২০১৩) ৫৭ ধারায় এ অভিযোগটি করা হয়। এরপর আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে বোয়ালখালী থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে আইনজীবীরা বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে হয়রানি করতে চট্টগ্রামের আদালতে এ মামলা করা হয়েছিল। আমরা আদালতকে বলেছি, একজনের ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে হয়রানি করতে মামলা করা হয়েছে।
তারা আরো বলেন, মামলার বিষয়বস্তুর সাথে আসামিদের বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই। দীর্ঘদিনেও আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য-প্রমাণ হাজির করতে পারেনি বাদি। শুধু রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে রায় দেন।
বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে ইরাদের নামে খোলা একটি ফেসবুক পাতা থেকে ২০১৬ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। তার আগে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ছবিও আসে ওই ফেসবুক পাতায়।
এরপর বিভিন্ন স্থানে ইরাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়। এরপর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর (সংশোধিত ২০১৩) ৫৭ ধারায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের তৎকালীন জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আসামি করে চট্টগ্রামের আদালতে মামলা করা হয়। পরে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।